চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় থ্রি-পিসসহ এটিএন বাংলার গাড়ি আটক

SHARE

indian threeচুয়াডাঙ্গা শহরের জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এটিএন বাংলার নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জহির ঠাকুরের একটি নীল রঙের ভক্সওয়াগন প্রাইভেটকার আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাতে তল্লাশি করে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা প্রায় চার লাখ টাকার থ্রি-পিস পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ ফারুক জানান, গোপনে খবর পেয়ে সোমবার বেলা ১১টার পর তার নেতৃত্বে একটি ডিবি’র দল চুয়াডাঙ্গা শহরের জীবননগর বাসস্টান্ডের কাছে অবস্থান নেয়। এ সময় ভারত সীমান্তবর্তী দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা একটি নীল রঙের ভক্সওয়াগন গাড়ির তারা গতিরোধ করে।

ওই গাড়ি তল্লাশি করে সেখানে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা প্রায় চারলাখ টাকার থ্রি-পিসের সন্ধান পায়। ডিবি’র দলটি ওই গাড়ির চালক নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার সিকদার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে পারভেজ (৩৫) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার মরহুম আব্দুস সামাদের ছেলে কামরুল ইসলামকে গাড়ি এবং অবৈধ বস্ত্রসহ আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে গাড়িচালক পারভেজ জানান, গাড়ির মালিক এটিএন বাংলার নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জহির ঠাকুরের। সে নড়াইল এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি হলেও থাকে ঢাকায়। তারই নির্দেশে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত কামরুলের মালামাল বহনের জন্য চারহাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা শহরে এসে তারা ধরা পড়ে।

রাজবাড়ী গোয়ালন্দের কামরুল ইসলাম জানান, সে চারহাজার টাকা চুক্তিতে গাড়িটি এ দিন ভোরে ভাড়া করে। তার সঙ্গে আরো একজন ব্যাক্তি ছিলো। সে আগেই অন্য পরিবহনে গোয়ালন্দ ঘাটের উদ্দেশ্যে চলে যায়। সে দাবি করে দর্শনা পৌর এলাকার ভাই ভাই ক্লথ স্টোর থেকে তারা থ্রি-পিসগুলো কেনে। ওগুলো অবৈধ কি না তা তার জানা ছিলো না।

এদিকে নড়াইলের সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক ওশান পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর জানান, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি জহির ঠাকুর মূলত: নড়াইলে থাকে না। সে এখানকার প্রেস ক্লাব থেকে বহিস্কৃত। ঢাকায় বসে সে কি করে কেউ জানেনা। সে লোহগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র নজরুল ঠাকুরের ভাই বলে তিনি জানান।

এটিএন বাংলার নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জহির ঠাকুর জানান, সে তার গাড়িটি নিজেই চালান। গাড়িটির কিছু কাজ করানোর জন্য তিনি সোমবার তার লোহাগড়া বাড়ির পাশের ছেলে পারভেজকে গাড়িটি চালিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সে আসতে গিয়ে দর্শনা থেকে ওই অবৈধ মালামালগুলো তোলে। এ সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানেন না।

চুয়াডাঙ্গা ডিবি’র ইনচার্জ ফারুক বলেন, এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা হয়েছে।