গাজায় গণহত্যা নিয়ে যারা নীরব থাকবে তারাই এর সাথে জড়িত: এরদোয়ান

SHARE

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে যে গণহত্যা চলছে, তা নিয়ে নীরব থাকা মানেই সেই অপরাধে অংশগ্রহণ করা। মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলা (IDEF 2025)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এরদোয়ান বলেন, “গাজায় যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আর এই নৃশংসতা নিয়ে যারা নীরব থাকছে, তারাও এই অপরাধের শরিক।”

উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি ও স্বনির্ভরতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই মেলা কেবল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির প্রদর্শনী নয়, এটি একটি জাতির স্বাধীনতার পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ। আজ তুরস্ক নিজস্ব প্রযুক্তি ও সক্ষমতার ওপর দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের পরিচিত করছে।”

তিনি স্মরণ করেন, ১৯৬০ ও ৯০-এর দশকে তুরস্ক বারবার নিষেধাজ্ঞা, বৈষম্য ও তথাকথিত মিত্রদের উদাসীনতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। “সাইপ্রাস শান্তি অভিযানের পর আমাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যুদ্ধবিমান মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠালে সেগুলো আটকে রাখা হতো, মৌলিক সামরিক যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়নি,” বলেন তিনি।

এরদোয়ান অভিযোগ করেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের সঙ্গে উত্তেজনার সময় পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রতিশ্রুতি মানেনি। “আমরা যখন নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছি, তখন তারা একের পর এক বাধা দিয়েছে। এমনকি আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সময় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে,” বলেন তিনি।

এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তুরস্ক আজ নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলছে বলে জানান তিনি। “আমরা নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপে হার মানিনি, বরং সেগুলো অতিক্রম করে আজ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছি।”

গাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে যারা বিবেককে স্তব্ধ করে রাখে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। তুরস্ক মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে, বরাবরই ছিল এবং থাকবে।”