গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলি চালানো এবং হত্যা করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান কাজা কালাস এক টেলিফোন আলোচনায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার-এর কাছে এই বার্তা দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় কাজা কালাস বলেন, “গাজায় ত্রাণ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে ইইউ সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য মনে করে। আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) অবশ্যই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে— অন্যথায় আমাদের সামনে সব ধরনের বিকল্প খোলা রয়েছে।”
ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনও কালাসের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “গাজার যে দৃশ্য আমরা দেখছি তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক মানুষ ভয়াবহ ভোগান্তির শিকার— এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে গাজা এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আহত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ। ইসরায়েলি সেনারা নিয়মিত গুলি ও মর্টার শেল ছুড়ছে গাজার বিভিন্ন এলাকায়, এমনকি খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
যৎসামান্য যেসব ত্রাণবাহী গাড়ি ঢোকার অনুমতি পাচ্ছে, সেগুলোর আশেপাশে জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষকেও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার এর নিন্দা জানালেও, তাতে কোনো সাড়া দেয়নি তেলআবিব। তবে ইইউ’র মতো দীর্ঘদিনের কৌশলগত মিত্রের এই প্রকাশ্য সতর্কবার্তা ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি