জাতিসংঘে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারত। দেশটির জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ বলেন, ভারত একটি পরিণত গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির মডেল, যেখানে পাকিস্তান ডুবে আছে সন্ত্রাসবাদ, ধর্মান্ধতা ও ধারাবাহিক ঋণগ্রহণে।
সোমবার (২২ জুলাই) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক উচ্চ-পর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনায় এই বক্তব্য দেন হরিশ। আলোচনার বিষয় ছিল ‘বহুপাক্ষিকতাবাদ এবং বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচার’।
পার্বথানেনি হরিশ বলেন,
“ভারত দায়িত্বশীল একটি রাষ্ট্র হিসেবে সর্বদা জাতিসংঘের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত এবং বিশ্বকে একটি আরও শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত পথে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন,
“ভারত যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে অগ্রসর হচ্ছে, তখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ফোরামগুলো থেকে ধার করার জন্যই যেন সক্রিয়। একদিকে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিপক্বতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, আর অন্যদিকে পাকিস্তানের ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদ ও ঋণের উপর নির্ভরতা—এ দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত পথ।”
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধির অবস্থান ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি বলেন,
“সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স ভারতের মৌলিক নীতিগুলোর একটি। অথচ পাকিস্তান বারবার আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডে জড়িত। এমন একটি দেশের প্রতি সম্মান জানানো যায় না, যে নিজেই নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েও নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।”
ভারতের এই মন্তব্য পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একবার চাপে ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় দুই দেশের পার্থক্য জাতিসংঘের মতো মঞ্চে বারবারই আলোচনায় আসছে।
সূত্র: NDTV.