সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, বাহরাইনে শ্রমবাজারে আশার আলো

SHARE

নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) মহামারির পটভূমিতে অবৈধ বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে বাহরাইন। মানামায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বাহরাইনে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রবাসে বাংলাদেশের শ্রমবাজারগুলো যেখানে সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাহরাইনে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওই দেশটিতে বর্তমানে অবৈধ অবস্থায় থাকা ৫০ হাজার বাংলাদেশি আছে। শ্রমিক ভিসায় গিয়ে যারা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বা বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছেন তাদের সিংহভাগই বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।

এদিকে অবৈধ থেকে বৈধ হওয়ার জন্য যে ফি আছে তাও তিন মাসের জন্য কমিয়ে এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাহরাইন সরকার। এর ফলে অবৈধ কর্মীদের বৈধ হওয়া আরো সহজ হবে।

জানা গেছে, বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস এরই মধ্যে ওই দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ হওয়ার জন্য যথাযথভাবে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সর্বোচ্চ সুফল যাতে বাংলাদেশিরা পান সে জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ১৪ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈধ হতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা নিতে এই করোনা মহামারির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে দূতাবাসে না আসতে অনুরোধ জানিয়েছে। দূতাবাস বাহরাইন পোস্ট অফিসের সঙ্গে একটি চুক্তি সইয়ের কাজ করছে। সেটি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশিরা বাহরাইনের পোস্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট সেবা পাবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বাহরাইন সরকার অবৈধদের বৈধ হওয়ার জন্য দীর্ঘ আট মাস সময় দিয়েছে।

জানা গেছে, বাহরাইনে নতুন করে কর্মী নেওয়া বন্ধ রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে অর্থনীতি চাঙা হলে নতুন করে কর্মী নেওয়া শুরু হতে পারে।