পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর দাবি করেছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তানে পৃথক অভিযানে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সংগঠনের ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুই সদস্যও নিহত হয়েছেন।
রবিবার ও শনিবার বহিষ্কৃত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও প্রসক্রিপ্টেড বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ)-এর বিরুদ্ধে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। খবর ডনের।
খবরে বলা হয়, এই অভিযানের মধ্যে লাক্কি মারওয়াত জেলায় প্রথম অভিযানে সেনারা পাঁচজন ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। বান্নু জেলায় দ্বিতীয় অভিযানে আরো দুইজন ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসীকে সফলভাবে নির্মূল করা হয়। আরেকটি ঘটনার সময়, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বহর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়। সেনারা পাল্টা জবাব দিয়ে আরো দুইজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।
তবে এই সংঘর্ষে সৈনিক ফারহাদ আলি তুরি (বয়স ২৯, কুররাম জেলা) ও ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (বয়স ৩২, কোহাট জেলা) নিহত হন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ঘটনাস্থলগুলোতে এখনো অভিযান চলছে, যাতে আরো সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে ধ্বংস করা যায়।
এক বিবৃতিতে আইএসপিআর দাবি করেছে, পাকিস্তানে ভারতের সহায়তা ও নির্দেশনায় সন্ত্রাসবাদ চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সাহসী সেনাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্প আরো দৃঢ় করে তুলছে।
আমরা এই হুমকি সম্পূর্ণ নির্মূল করব।
আইএসপিআর আরো জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম ও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।