ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আরো কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারা। সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক আক্রমণ ও ত্রাণ বিধিনিষেধ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
খবরে বলা হয়, এই তিন দেশের নেতারা অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং আরো মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা রবিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সীমিতসংখ্যক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের ঘোষণা সম্পর্কে বলেছেন, এটি ‘সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত’ এবং গাজার সাধারণ মানুষের প্রতি সহায়তা দিতে ব্যর্থ হওয়া ‘অগ্রহণযোগ্য’। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার বিবৃতিতে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলকে মানবিক নীতির আলোকে সাহায্য বিতরণ পুনরায় চালুর বিষয়ে কাজ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
১ মার্চের পর প্রথমবারের মতো সোমবার গাজায় পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে।
ওই দিন ইসরায়েল সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যাতে হামাস শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দিতে চাপ অনুভব করে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিছু আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছেন, গাজা চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে, নেতানিয়াহু রবিবার সন্ধ্যায় ‘মৌলিক’ মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের চাপ বাড়তে থাকায় এটি তার ডানপন্থী সমর্থকদের মধ্যে অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিবৃতির জবাবে বলেছেন, ‘লন্ডন, প্যারিস ও অটোয়া ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলের ওপর গণহত্যামূলক হামলার জন্য বড় পুরস্কার দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো এমন নৃশংসতার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।’