ব্রাজিলে বিশ্বকাপবিরোধী দরিদ্র মানুষের সংগ্রাম যখন তুঙ্গে তখন দেশটির প্রশাসন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রবল নিরাপত্তাবূহ্য তৈরি করতে ব্যস্ত।
আগামী মাসে ৩২ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনে যেন বিক্ষোভকারীরা কোনপ্রকার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সেজন্যে এ অকল্পনীয় অংক (৮৫ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার, প্রায় ৬ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা) খরচ করা হচ্ছে শুধুমাত্র নিরাপত্তাবিধান করার পেছনেই।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যে ১ লাখ পুলিশ নিয়োগ করা হবে এবং স্টেডিয়ামসমূহের চারপাশে, বিমানবন্দরে, হোটেল ও বোর্ডিং হাউজগুলোয় নিরাপত্তাবিধানের জন্যে নিয়োগ করা হবে ৫৭ হাজার সশস্ত্র সেনাসদস্যকে।
বিশ্বকাপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলের ১২টি শহরে। ১২ জুন থেকে ১৩ জুলাই; ১ মাসব্যাপী আয়োজন। ৬ লাখ বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে এ সময়ের মধ্যে।
ব্রাজিলের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি দিলমা রৌসেফ যে কোন কিছুর বিনিময়ে নিরাপদে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পন্ন করতে চান। তিনিসহ আয়োজকদের ধারণা, বিক্ষোভকারীদের যে ধরনের দৌরাত্ম গত বছরের জুন মাস থেকে চলে আসছে এবং এখনও চলছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে তা দুর্বল হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের ২০১১ সালে কৃত রাষ্ট্রীয় হিসেব অনুযায়ী দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু বর্তমান বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী সংখ্যাটি মোট জনসংখ্যার ২১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিক্ষোভকারীরা মূলত এই দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং তাদের সমর্থক গোষ্ঠি। তাদের দাবি- বিশ্বকাপের ‘বিলাসিতায়’ না ভেসে ব্রাজিল আগে তাদের মানবিক প্রয়োজন ও মৌলিক অধিকার পূরণ করুক।