‘যাদবপুরের মিথ ভেঙে দিয়েছি’

SHARE

যাদবপুরে মিমির জয় যেন এক অন্য বার্তা দিয়েছে টালিগঞ্জকে। টালিগঞ্জের দেয়ালে দেয়ালে ঝুলেছিল মিমির পোস্টার। মেট্রো স্টেশন থেকে বের হলেই দেখা যেত। সুযোগ পেলে বিরোধীপক্ষরা যে সেসব ছিঁড়ে ফেলতো না, তা কিন্তু নয়। অবশেষে মিমি জিতেছেন।

মিমি বলেন, যে দিন আমি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলাম, আপনার মনে আছে কি না জানি না, আমি কিন্তু সেই প্রথম দিন থেকে বলেছিলাম মানুষ আমার জয় নিয়ে আসবেই। আজ তো সেটাই হয়েছে। অনেক কথা শুনতে হয়েছে, যাদবপুরের মতো জায়গায় এরকম একটা হাঁটুর বয়সি মেয়েকে দাঁড় করানো হচ্ছে। কিন্তু ওই হাসি, ঠাট্টা, মিম সব কিছুর জবাব আমার হয়ে মানুষ দিয়েছে।আজ একটা কথা বলি?

এই টলিউড অভিনেত্রী বলেন, আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই যে যাদবপুরে শুধু বড় শিক্ষক, প্রফেসর বা আইনজীবী নির্বাচনে দাঁড়ালে মানুষ ভোট দেবে— যাদবপুরের এই মিথ আমি ভেঙে দিয়েছি। যাদবপুর শুধু ‘রেড ব্লক’ এটা আর বলা যাবে না। যাদবপুর থেকেই এখনও পর্যন্ত যত সংখ্যক ভোট পেয়েছি আমি সেই সংখ্যাটাই প্রমাণ করে মানুষ ‘ইয়ুথকে’ চেয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দলের সকলের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল এই জয়।

তিনি বলেন, এমন কোনও অঞ্চল ছিল না যেখানে মিমি যায়নি। এক এক জায়গায় সাত-আট বার করে গিয়েছি। আর দেখুন মানুষের পালস্ বুঝতে পারার অভিজ্ঞতা তো আমার আজ হয়নি। স্টেজ শো করতে করতে দেখেছি মানুষ নাচছে। সেই রিঅ্যাকশনে আমাদের পারফর্ম করতে ভাল লাগে। প্রচারে গিয়েছি, একটা পাঁচ বছরের মেয়ে বলছে, আমি বড় হয়ে ‘মিমি’ হতে চাই। আট বছরের এক মেয়ের বাবা-মা এসে বলছে, আমাদের মেয়ের নাম রেখেছি মিমি। সত্তর বছরের বৃদ্ধা জড়িয়ে ধরে রীতিমতো কাঁপছে আর বলছে, এত কাছ থেকে মিমিকে তিনি এ জন্মে পাবেন ভাবেননি। আর কী চাইব বলুন মানুষের এমন ভালবাসার জোর!

মিমি বলেন, আজ একটা কথা পরিস্কার বলে দিই। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য মিমি কাজ করবে। কোনও ফাঁকি থাকবে না। বাড়িতে বসে যদি আপনি বলেন, আমি এমপি আমি কোথাও যাব না। তা হলে মানুষ থাকবে না তোমার সঙ্গে। বিশ্বাস করুন এমন কোনও জায়গা নেই আমি যাইনি। আনন্দবাজারের সাক্ষাৎকার থেকে