অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, শেরেবাংলা বলতেন, হিন্দুরা যখন আমার সমালোচনা করেন তখন মনে হয় আমি খাঁটি মুসলমানদের পক্ষে আছি।
আর মুসলমানরা সমালোচনা করলে মনে হয় আমি হিন্দুদের পক্ষে আছি। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের কেউ সমালোচনা করলে নিজেকে সঠিক জাতিয়তাবাদী বলে মনে হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা সাদেক হোসেন খোকাকে নিউইয়র্কে প্রতিহত করার হুমকি দেন। হুমকির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই অপর এক আলোচনা সভায় মুখ খোলেন বিএনপির এ নেতা।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় ৮ মার্চ আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত ৭ মার্চের সমাবেশস্থলে দি গ্রেটার ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম অব নর্থ আমেরিকা আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন খোকা।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এ মেয়র বলেন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে এমন কোনো আন্দোলন নেই যাতে আমি অংশগ্রহণ করিনি।
আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে আমার বিরুদ্ধে পৌনে দুইশ মামলা দেওয়া হয়, এর মধ্যে সাতটি ছিল মার্ডার কেস। তা সত্ত্বেও আন্দোলন সংগ্রাম থেকে কখনো পিছপা হইনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা দিয়েছে, এর মধ্যে দুটি হলো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, কথায় কথায় ভোটাধিকার চাইবেন, মিটিং মিছিল করার অধিকার চাইবেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলবেন, তাহলে তারা পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের কথা বলবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের কথা স্পষ্ট। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পাকিস্তানীদের পরাজিত করে পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের পতাকা সমুন্নত করেছি।
সেই থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সকল সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, পিন্ডির জিঞ্জির আমরা ছিড়েছি, দিল্লীর জিঞ্জির পবার জন্য নয়। মূলত মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে দেবার জন্যই তারা পাকিস্তানের কথা বলেন।
খোকা বলেন, চলমান আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, এ আন্দোলন শুধু ২০ দলের নয় বরং এটি সবার আন্দোলন।
সংগঠনের সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং আতাউর রহমান আতার সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক ও সাংবাদিক মীনুদ্দীন নাসের, কামাল সাইয়েদ মোহন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন, বাতেন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান, নাসির উদ্দিন শরীফ, শেখ শাহাজান, এ কে আজাদ, এম এ করিম, বদরুল ইসলাম খান, মোশাররফ হোসেন সবুজ, বাসিত রহমান, মোশাররফ হোসেন খোকন, মোহাম্মদ আলী হোসেন প্রমুখ।