বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক থেকে ব্যাট চালায় ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। তবে, ইনিংসের ২০তম ওভারে মাশরাফির বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন অ্যালেক্স হ্যালস।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ২০ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান তুলেছে।
টাইগারদের ছুড়ে দেওয়া ২৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন ইয়ান বেল এবং মঈন আলী। আর বাংলাদেশের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা বোলিং সূচনার দায়িত্ব নেন। নড়াইল এক্সপ্রেসের করা প্রথম ওভার থেকে ইংলিশ ওপেনাররা নেন তিন রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রুবেল হোসেন মঈন আলীকে এলবি’র ফাঁদে ফেলেন। তবে, টাইগারদের প্রথম সাফল্য থেকে নিরাশ হতে হয় আম্পায়ার রিভিউ সিস্টেমের কারণে।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ ওপেনাররা বেশ সহজে মোকাবেলা করে টাইগার বোলারদের। তবে, ইনিংসের অষ্টম ওভারে মাশরাফি আরাফাত সানির হাতে বল তুলে দেন। আর সে ওভারেই দলীয় ৪৩ রানের মাথায় রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী। আউট হওয়ার আগে ইংলিশ এ ওপেনার করেন ১৯ রান।
বিশ্বমঞ্চের ৩৩তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা টাইগাররা ইংলিশদের সামনে ২৭৬ রানের টার্গেট দেয়। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে এ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। আর তৃতীয় শতকের অপেক্ষায় থেকে মুশফিক ফেরেন ৮৯ রান করে। তবে, দু’জন মিলে ১৪১ রানের বড় জুটি গড়েন।
দলীয় ৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাময়িক বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, বিপর্যয় কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করে রিয়াদ-সৌম্য জুটি। এ জুটি থেকে তারা আরও ৮৬ রান সংগ্রহ করেন। ২১তম ওভারে জর্ডানের বলে উইকেটের পিছনে জস বাটলারের তালুবন্দি হন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫২ বলে ৫টি চার আর একটি ছয়ে করেন ৪০ রান।
দলীয় ৯৯ রানের মাথায় সাকিব বিদায় নিলে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। এ দু’জন মিলে গড়েন ১৪১ রানের জুটি। রিয়াদ ১৩৮ বলে ১০৩ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়ে আর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেন সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে থাকা ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবেও নাম লেখান। রিয়াদের ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর দুটি ছক্কার মার।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে ব্রডের বলে জর্ডানের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে মুশফিক খেলেন ৮৯ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস। তার খেলা ৭৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার আর একটি ছক্কা। আর শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে সাব্বির রহমান করেন ১৪ রান।
অ্যাডিলেড ওভালে উভয় দলের জন্যই হবে বাঁচা-মরার লড়াই। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারলেই সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়ে যাবে ইংলিশদের।
বাংলাদেশের জন্য এ ম্যাচের পরও সুযোগ হিসেবে থাকছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। তবে ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড দলের এ ম্যাচ জয়ের কোনো বিকল্প নেই।