আক্তারুজ্জামান (সোহেল বারি) ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি: গত বছর জুলাই মাসের ১৯ তারিখে নিহত হন সর্বকনিষ্ঠ ৪ বছর শিশু আব্দুল আহাদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে ৮ তলার উপর তার বাবা-মায়ের সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল আহাদ। বাসায় নিচে ছাত্র ও পুলিশের তুমুল গোলা-গুলি চলছিল। এ সময় তাদের ছোড়া একটি বুলেট আঘাত করে আব্দুল আহাদ কে নিমিষেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশু আহাদ।
তিনি “জুলাই সর্বকনিষ্ঠ যোদ্ধা” হিসেবে পরিচিতি পান। শহীদ আব্দুল আহাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রাম।
আহাদ “জুলাই সর্বকনিষ্ঠ শহীদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তার স্মরণে ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আহাদের কবরে ফুলের শ্রদ্ধা সহ শোক ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে আব্দুল আহাদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন, ভাঙ্গা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো, আসিফ ইকবাল, নির্বাচন অফিসার হাচেন উদ্দিন, শিক্ষা অফিসার মো, জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ভাঙ্গা উপজেলা সমন্বয়ক শেখ আশরাফ সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ।
এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন- জুলাই গন-অভ্যুত্থানে নিহত হন সর্বকনিষ্ঠ ৪ বছর শিশু আব্দুল আহাদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা যাত্রাবাড়ির রায়েরবাগ এলাকায় ৮ তলার উপর তার বাবা-মায়ের সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল আহাদ। এসময় বাসায় নিচে ছাত্রদের সাথে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন সর্বকনিষ্ঠ শিশু আব্দুল আহাদ । শিশু আহাদের মত অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে সেদিন। আমরা শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচার সম্পুর্ন করা হবে। শহীদ আব্দুল আহাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং আহাদ সহ সকল শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
এবিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল মো, আসিফ ইকবাল বলেন- আজ সারাদেশের মত ভাঙ্গায় জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুলিশ প্রশাসন দিবসটি পালন করে। আমরা শহীদ আব্দুল আহাদের কবরে ফুলের শ্রদ্ধা ও আহাদ সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আব্দুল আহাদের বাড়ির পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করেছি।
উল্লেখ, গত বছরের ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ চলাকালে আহাদ তার বাবা-মায়ের সাথে বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন শহীদ আহাদের গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।