ক্রিকেটের বর্তমান সময়ে সাফল্য পাওয়ার জন্য প্রায় দেশগুলি তিন ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দল তৈরি করছে। আফগানিস্তানের মতো নবীন দলও একই কাজ করছে। তাহলে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ কেন নয়? গত ভারত সফর থেকে দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলে আসছেন, সংস্করণ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দল গঠন করবেন তিনি। এবার পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ জানালেন, নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
মিরপুরে সিরিজপূর্ব আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘আগেও বলেছি যে কেউ কেউ সব সংস্করণে থাকবে না। যখন আপনার হাতে অনেক সুযোগ থাকবে না, তখন সব সংস্করণে কয়েকজন যেন খেলতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু পজিশনে সব সংস্করণে কিছু খেলোয়াড়কে খেলানোর চেষ্টা করতে হবে।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়েছে ডমিঙ্গোর। দেখেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা। এতে নিজে থেকে নির্বাচকদের কিছু নাম দিয়েছেন তিনি, ‘গতকাল সিলেকশন কমিটির সঙ্গে কথা বলার সময় আমি তাদের কিছু নাম দিয়েছি। বিশেষ করে সামনের কিছু সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে যাদের প্রয়োজন হতে পারে। এখন আমার সব খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা হয়েছে। ওরা কোথায় খেলে, কিসে ভালো ওদের কিসে উন্নতি প্রয়োজন। আমার মনে হয়, আমি এখন আরও ভালো বুঝতে পারছি কাকে পছন্দ করি, কার সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন, কার জন্য মনোযোগ প্রয়োজন, কাকে ছেড়ে দিতে হবে, কে আমাদের যাত্রায় সঙ্গী হতে পারে।’
চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট চলে যাওয়ার পর নতুন পেস বোলিং কোচ হিসেবে এসেছেন ওটিস গিবসন। কোচিং স্টাফের নতুন সদস্যকে নিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘গিবসনকে আমি অনেক দিন ধরেই চিনি। তিনি অভিজ্ঞ একজন কোচ। তাকে কেবল বোলিং কোচ হিসেবেই ব্যবহার করব না। অন্য ব্যাপারগুলোতেও তাকে সম্পৃক্ত করব। আমাকে ১০ জন বোলারের নাম দিয়েছেন যাদের তিনি মনে করছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার মতো। ওদের খেলাতে আগামী কয়েক মাসে আমাদের কিছু ম্যাচ প্রয়োজন হবে।’