ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অবিশ্বাস্য কামব্যাকের গল্প লিখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ সাত মিনিটে ৩ গোল দিয়ে জয়োল্লাসে মাতে তারা। এমন অবিশ্বাস্য জয়ের অনুপ্রেরণা কোথা থেকে এসেছে সেই গল্পই শুনিয়েছেন কোচ রুবেন আমোরিম।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ডকুমেন্টারি দেখেই জয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আমোরিম।
তিনি টিএনটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘১৯৯৯ সালের ডকুমেন্টারি আবার দেখেছি। তা থেকেই এই মুহূর্তের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। গতকালের রাতটা সত্যি দুর্দান্ত ছিল। একজন খেলোয়াড় বেশি নিয়ে দল ৪-২ ব্যবধানকে ধরার চেষ্টা করছিল।
আমরা মনে করছিলাম শেষ। কিন্তু এখানে শেষ হয়নি।’
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সবকিছু সম্ভব বলে জানিয়েছেন আমোরিম। ম্যানইউ কোচ বলেছেন, ‘এখানে (ওল্ড ট্র্যাফোর্ড) সবকিছুই সম্ভব।
এখানকার বাতাবরণটা অনুভব করেন। ব্রুনো ফার্নান্দেজের পেনাল্টির পর ৪-৩ হলে আমরা বিশ্বাস করছিলাম ম্যাচ ঘুরাতে পারব।’
সত্যি সত্যিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন আমোরিমের শিষ্যরা। ম্যানইউ প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গেলে বিরতির পর সমতায় ফেরে লিওন। অতিরিক্ত সময়ে দুই গোল দিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়েও যায় তারা।
তবে ম্যাচের শেষ ৭ মিনিট কোনো রকমে কাটিয়ে দিতে পারেনি লিওন। যার ফল এ সময় ৩ গোল দিয়ে তাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় ম্যানইউ।
রেড ডেভিলসের জয়ের নায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ের। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা প্রথম মিনিটে দলকে হেডে আনন্দে ভাসান তিনি। তার আগের মিনিটেই অবশ্য ৪-৪ সমতায় ফেরানোর কাজটা করেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোবি মাইনু। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ম্যানইউ।
মাইনু আর ম্যাগুয়েরের মতোই ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি বায়ার্ন মিউনিখের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানইউ। ক্যাম্প নূতে ম্যাচের ৬ মিনিটে মারিও বাসলারের ফ্রি কিকে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। জার্মান মিডফিল্ডারের গোলেই শিরোপা উদযাপনের প্রহরও গুণছিল।
কেননা ম্যাচ শেষ হতে শুধু যোগ করা সময়ের মুহূর্তই বাকি। কিন্তু ফার্গুসনের দুই শিষ্য টেডি শেরিংহাম ও ওলে গুনার সুলশার হতে দিলেন কই। যোগ করা সময়ের প্রথম ও তৃতীয় মিনিটে গোল করে বায়ার্নের মুখ থেকেই যেন খাবার কেড়ে নিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার। গতকাল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গ্যালারিতে বসে প্রিয় ক্লাবের বিজয়োল্লাস দেখে ফার্গুসনেরও কি মনে পড়েনি সেই জাদুকরী রাতের কথা?