ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩৮, আহত ১০২

SHARE

ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছে। হুথি-অনুমোদিত মিডিয়া জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনীর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি এটি। দেশটির হোদেইদাহ স্বাস্থ্য অফিসের বরাত দিয়ে আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই হামলায় ১০২ জন আহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল মাসিরাহ টিভির শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাস ইসা বন্দরে বিশাল বিস্ফোরণ।
এরপর ভিডিওটিতে ধ্বংসস্তূপ ও আগুনের ছবি দেখা যায়। এ ছাড়া এক মৃত বেসামরিক নাগরিকের ছবিও দেখা গেছে। পোস্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ক্যাপশনে আরবি ভাষায় বলা হয়েছে, ‘রাস ইসা তেল বন্দরকে লক্ষ্য করে মার্কিন আগ্রাসনের প্রাথমিক ফুটেজ। এ হামলায় বেশ কয়েকজন শহীদ এবং বহু বন্দর কর্মী ও কর্মচারী আহত হয়েছেন।

মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হুথি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস বন্ধ করার জন্য এ হামলা চালানো হচ্ছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছে, ‘এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎসতে আঘাত হানা।’ তবে হুথিদের নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি পেন্টাগন।

জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বৃহত্তম সামরিক অভিযানে হুথিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে।
হামলা শুরুর পর থেকে এটি সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর মধ্যে একটি। এদিকে হুথি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চ মাসে দুই দিনের মার্কিন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির মতে, রাস ইসা একটি তেল পাইপলাইন এবং বন্দর পরিচালনা করে। এটি ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। ইয়েমেনের প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি, ৮০ শতাংশ মানবিক সহায়তা রাস ইসা, হোদেইদাহ এবং আস-সালিফ বন্দর দিয়ে যায়।

ওয়াশিংটন হুথিদের সতর্ক করে বলেছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর সশস্ত্র আন্দোলন আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত থাকবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা জাহাজগুলোতে ১০০ টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের জবাবে এই সকল অভিযান চালানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা