গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে গতকাল বুধবার ইসরায়েল জানিয়েছে। অনবরত ইসরায়েলি হামলা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে গণকবরে পরিণত করেছে বলে একটি চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে। গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজা উপত্যকাজুড়ে আবার বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। গতকাল বুধবার উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, গাজাজুড়ে হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে তীব্র মানবিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেছেন, ২৪ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ অঞ্চলে ইসরায়েল সাহায্য প্রবেশ করতে দেবে না।
কাটজ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নীতি স্পষ্ট, কোনো মানবিক সাহায্য গাজায় প্রবেশ করবে না এবং হামাস সেখানকার বাসিন্দাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, মানবিক সাহায্য আটকানোর এই পদক্ষেপ হামাসের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য।
’
তিনি আরো বলেন, ‘গাজায় বর্তমানে কেউ কোনো মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না এবং এ ধরনের সাহায্য প্রদানের জন্য কোনো প্রস্তুতিও নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামরিক চাপকে গাজায় বর্তমানে আটক ৫৮ জন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হামাস একের পর এক আঘাত পাবে। তারা আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিক।
’
ইসরায়েল গাজায় সব সাহায্য এবং সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে আক্রমণে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ৬৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ০২৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
সূত্র : এএফপি