আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এ যোগ দেওয়া ২৮ দেশের পাঁচ হাজার নাগরিককে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ইরাকে আটক আইএস জঙ্গিদের বিচার বাগদাদ আদালতে শুরু হয়েছে। ধরাণা করা হয়েছে, আদালতে মৃত্যুদণ্ড দিলে সেখানেই কার্যকর করা হতে পারে তাদের দণ্ড।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইরাকে চূরান্ত যুদ্ধ শেষে আইএসের বহু জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার জনকে বাগদাদের একটি কারাগারে আটকে রাখা হয়। এই কারাগারে শত শত বিপজ্জনক আইএস জঙ্গিকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের অনেকের শরীরে লেগে আছে গুলি, নেই হাত বা পা।
কারাগারটির রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট সেল। আর প্রতিটি সেলে একশ জন করে জঙ্গিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের পরানো হয়েছে কমলা রঙের পোশাক। সিসিটিভি দিয়ে দিনের ২৪ ঘণ্টাই তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়। সেলগুলোতে উপচে পড়া মানুষের কারণে ছড়াচ্ছে নানা রকমের রোগ। গার্ডরা জানান, বন্দি অনেকেরই জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন।
ওই কারাগারের বন্দিদের মধ্যে সারা বিশ্বের ২৮ দেশের নাগরিক রয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগিরকও রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক আইএস বন্দিদের আটকে রেখেছে।
এদিকে, বাগদাদে শুরু হয়েছে তাদের বিচার। যেকোনো সময় তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে ফাঁসিতে। গত বছরের মে মাসে সিরিয়া থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পরে বাগদাদে সাত ফরাসি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকের সন্দেহভাজন আইেএসএ সদস্যদের বিচারের ক্ষেত্রে বড় বড় ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের তদন্তে তাদের অত্যাচারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রায় আটশটি বিচার পর্যবেক্ষণ করার পর প্রতিবেদনে বলা হয়, সুষ্ঠু বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘন করা হয়েছে।