ইন্টারনেটে এক ভিডিওচিত্রে সে বলেছে বাবা-মা একসাথে না থাকলেও তার কোনো আক্ষেপ নেই। বরঞ্চ আজকার কাছে স্বস্তির বিষয় যে বাবা-মা আর ঝগড়া করেনা।
আজকার এই স্বীকারোক্তি, অভিজ্ঞতা এখন বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের মনে দাগ কাটছে।
ভিডিও চিত্রটি শুরু হয়েছে এভাবে – “আমার নাম আজকা … একটি ঘরভাঙা শিশুর কাহিনী..”
একটু করুণ সুরের আবহ সঙ্গীত ব্যবহার করা হলেও, আজকার কথায় বিন্দুমাত্র দুঃখের ছোঁয়া নেই।
বিচ্ছেদ হলেও তার বাবা-মা কাছাকাছি থাকে। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব আছে। মাঝে মধ্যে আজকাকে নিয়ে একসাথে বিদেশে ছুটি কাটাতেও যায় তারা।
“বাবা-মা দুজনের কাছ থেকে একইরকম ভালোবাসা পেলে, সেটা ভাঙা ঘর হতে পারেনা।”
কোরবুজিয়ের বলেছে, অনেক মানুষ তাকে প্রশ্ন করে বাবা-মার মধ্যে বিচ্ছেদে সে কষ্ট পাচ্ছে কিনা। অনলাইনে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিল সে।
ইন্দোনেশীয় বালকের এই ভিডিও চিত্রটি ইউটিউবে সাড়ে তিন লক্ষ বার দেখা হয়েছে। সারা পৃথিবী থেকে বহু মানুষ আজকাকে প্রশংসা করে মন্তব্য করেছে।
একটি মন্তব্যের ভাষা ছিল এমন:”এরকম উৎসাহব্যঞ্জক ভিডিওর জন্য ধন্যবাদ। আমি এটি আমার মা এবং ছোট বোনকে দেখিয়েছি। আমাদের চোখে পানি চলে এসেছিল।”
অন্যরা বাবা-মার বিচ্ছেদের পর তাদের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছে। একজন লিখেছে, ” (বাবা-মার বিচ্ছেদ হলেও) আগের চেয়ে আনন্দে থাকা সম্ভব। অল্প বয়সেই এরকম মনে হয় – যা হয়েছে ভালো হয়েছে।”
আজকা ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় একজন টিভি ব্যক্তিত্ব ডেডি কোরবুজিয়েরের সন্তান।
কোরবুজিয়ের বিবিসিকে বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী যখন আজকাকে তাদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন, ছেলের প্রতিক্রিয়া দেখে তারা অবাক হয়েছিলেন। “তার প্রথম প্রশ্ন ছিল – আমি কার সাথে যাবো।”
“আমরা তাকে বলি, যে বাড়িতে সে আছে, সেখানেই থাকবে সে… তার উত্তর ছিল -কোনো সমস্যা নেই।”
ওই বাড়ির নাম দেয়া হয়েছে আজকা’র বাড়ি।
এই ভিডিও প্রকাশের পর নয় বছরের আজকা এখন ইন্দোনেশিয়াতে একজন সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৬০,০০০।– বিবিসি