শীতে মাঝে মাঝে ভোর বেলা চোখ খুলে সূর্যের আলো দেখতে পাওয়াটা মুশকিল হয়ে পড়ে। সম্প্রতি দেশে শৈত্য প্রবাহের ফলে শীত যেন আরো জেঁকে বসেছে। প্রায় সারা দিনই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। আর এ তীব্র শীতে নানা রোগের আবির্ভাবও হয়।বিশেষ করে শীতে শিশু এবং বয়স্ক লোক বেশি অসুখে ভুগে থাকেন। শীতকালীন এ সব অসুখ বিসুখের কারণ এবং প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন নাঙ্গলকোর্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা চৌধুরী রিমি।
সর্দিকাশি
শীতকালে সর্দিকাশি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, লালা, কাশি বা হাঁচি মাধ্যমে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ে এ রোগের সংক্রমণ হয়। আর এ রোগটি ছোট বড় সবারই হতে পারে। তবে শীতে যদি একটু সতর্ক থাকা যায়, অর্থাৎ বাইরে বের হওয়ার সময় গরম কাপড় ভালোভাবে পড়ে বের হতে হবে। এ রোগ চিকিৎসকের তেমন প্রয়োজন হয় না। তবে খুব বেশি জ্বর, গলাব্যথা, কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
হাঁপানি
এ কনকনে ঠাণ্ডায় যাদের হাঁপানির সমস্যা থাকে তা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেখা যায় হাঁপানির এ তীব্রতা থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যাটা আরো বেড়ে যায়। মূলত বাচ্চাদের এবং যাদের বয়স ৫০ ঊর্ধ্ব তাদের হাঁপানির সমস্যাটা বেড়ে যায়। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাসায় গোসলের সময় কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সমস্যা তীব্র হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
হাইপোথারমিয়া
এ সমস্যাটি মূলত শিশু এবং বয়স্কদের হয়ে থাকে। কারণ শিশু এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে থাকে । অনেক সময় হাইপোথারমিয়ার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব শরীরকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখা যায়।
ডায়রিয়া
শীতকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেড়ে যায়। এর ফলে শিশুদের পেটে ব্যথা,খাবারের অরুচি দেখা যায়। ডায়রিয়ার সময় সঠিক পরিমাণে খাবার স্যালাইন গ্রহণ করলে ভালো হয়ে যায়। তবে যদি তা মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যয়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।