কোলেস্টেরল কমাতে চুমুক দিন ৩ পানীয়তে

SHARE

আপনি অনেক সময় নিয়ম মেনে ওষুধ খেলেও আপনার কমাছে না কোলেস্টেরল। তাই আপনি কীভাবে সুস্থ থাকবেন, তার ঘরোয়া উপায়ও জেনে রাখা উচিত। কিছু পানীয় আছে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সে রকম কিছু পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন। এতে আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে।

আপনি জানেন কী— কোলেস্টেরল মানেই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি। আর তাই কোলেস্টেরল কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু সব সময় নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয় না। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয়েই যায়। সদ্য উৎসব পেরোল। আনন্দ-উৎসবের সময় খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলা সত্যিই বেশ কঠিন।

তবে অনিয়ম করলেও কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, তার উপায়ও জেনে রাখা উচিত। কিছু পানীয় কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে চুমুক দিতে পারেন তেমন কিছু পানীয়ে।

গ্রিন টি
আপনার শরীর ঝরঝরে রাখতে অনেকেই প্রতিদিন গ্রিন টি খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়তেও গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা জানাচ্ছে, দুই মাস একটানা রোজ গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমে যায়।

বেরির স্মুদি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ক্র্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। কম ফ্যাটযুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সকালের জলখাবারে বেরির স্মুদি রাখতেই পারেন। সপ্তাহে তিন দিন খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কমলালেবুর রস
কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কিছু দিন পরেই শীত চলে আসবে। বাজারে ভরে যাবে কমলালেবু। কমলালেবু ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন দুই কাপ করে কমলালেবুর রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। কমলালেবু শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।