পরিবারের পর সহকর্মীদের সাথেই দিনের সবচেয়ে বেশি সময় থাকা হয় আমাদের। কাজ থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা -এভাবেই সম্পর্কটা একসময় বন্ধুর মতো হয়ে যায়। আবার কাজ করতে করতে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব কাজের ওপর পড়ে। তাই কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে কিছু বিষয় মেনে চলা যেতে পারে-
♦ প্রথমেই নিজেকে ঠিক থাকতে হবে। কারও বিষয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য বা পরচর্চা করা যাবে না। হোক তাঁর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে।
♦ অফিসে এমন অনেক ব্যক্তি থাকেন, যাঁরা পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন। কখনো সেসব ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা পেলে, কৌশলে তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
♦ অফিসে অমুক আপনাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। হয়তো আপনি এর কিছুই জানেন না। সে ক্ষেত্রে রাগ বা অভিমান মনের মধ্যে পুষে না রেখে সরাসরি বলাই ভালো। তাহলে দেখবেন সমস্যা অনেকখানি কমে গেছে।
♦ বর্তমান যুগে দলগতভাবে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। দলের সদস্যদের একেকজনের মানসিকতা ও কাজের ধরন একেক রকম হবে। এতে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। আবেগকে প্রশ্রয় না দিয়ে কেন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে।
♦ অপরপক্ষকে সরাসরি কথা বলার জন্য রাজি করাতে হবে। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এরপর আপনার বক্তব্য দিন। খেয়াল করবেন যেন তর্ক না বেধে যায়। তাতে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
♦ ভেবে দেখুন যার সাথে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, তার সাথে কীভাবে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো যায়। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য কোনো সহকর্মী বা বন্ধুসুলভ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা নিতে পারেন। এমন কারও সহযোগিতা নেবেন না, যিনি উল্টো কথা গিয়ে তাকে বলবেন।