বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, যারা ১৮ বছর বয়সে ভোটের অধিকার পায়, তারা গত ২০০৯ থেকে ২০২৫, দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আজকে তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘গুটিকয়েক তরুণ ছাত্র যারা সরকারের অংশ হয়ে ভাবছে, তাদের চিন্তা দেশের বাকি তরুণদের মতো নয়। সারা দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে ভুলে গিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।
শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘তারেক রহমানের রাজনীতি : গণ-অভ্যুত্থানের সাবলিমিটি’ বই প্রকাশনা উৎসবের আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘প্রথম ছন্দপতন হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার দুটি উদ্দেশ্য ছিল—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।
কিন্তু বারবার সেই পথে ছন্দপতন ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম যদি ক্যান্টনমেন্টে না হয়ে থাকে, তাহলে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিল—এ প্রশ্ন তুলতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনো পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, তিনি সম্মুখ দরজা দিয়েই রাজনীতিতে এসেছেন। ছাত্ররা ভবিষ্যতের নেতা।
কিন্তু প্রস্তুতি না নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গেলে ভবিষ্যতে মহাসমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি মানুষ সরকারের কার্যক্রমে কেন হতাশ, সেই প্রশ্ন আজ দেশের সামনে। যদিও দেরিতে হলেও নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।’
তরুণ প্রজন্মকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, ‘তরুণ যুবকেরা, যারা ১৮ বছর বয়সে ভোটের অধিকার পায়, তারা গত ২০০৯ থেকে ২০২৫, দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আজকে তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
গুটিকয়েক তরুণ ছাত্র যারা সরকারের অংশ হয়ে ভাবছে, তাদের চিন্তা দেশের বাকি তরুণদের মতো নয়। সারা দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে ভুলে গিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি সবশেষে বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করে যাবে।’
আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম।