ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাততে চেয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহানরা। অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাওয়ার আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক।
তবে মুখে বলা সেই কথার প্রমাণ কাজে দিতে পারেননি সোহানরা। উল্টো গতবার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেলেও এবার সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি তারা।
আজ শেষ চার নিশ্চিত করতে হলে অসম্ভবকে জয় করতে হতো। সেটা যে ভীষণ কঠিন ছিল তা ম্যাচ শেষে ভালোভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। নিজেদের এবং টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ও পায়নি বাংলাদেশ।
উল্টো ৭ উইকেটের বড় পরাজয়ে দেশে ফেরার টিকিট কাটতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
অন্যদিকে জয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়টি এনে দিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান ম্যাকেঞ্জি হার্ভি। তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতেই শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ পাচ্ছে অ্যাডিলেড।
বাংলাদেশকে আজ একাই হারিয়ে দিয়েছেন হার্ভি।
মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে যখন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অ্যাডিলেডের জয় নিশ্চিত করেন তখন তিন অংকও স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। তাতে ১১ বল হাতে রেখে জয় পায় অ্যাডিলেড। ১৭৬ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ১২৩ রানের জুটি গড়েন হার্ভি ও জ্যাক উইন্টার। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে উইন্টার ফিরলেও জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হার্ভি।
মাঝে হ্যারি নিয়েলসন (৩) ও টম ও’কননেল (৬) দ্রুত ফিরলেও হার্ভির ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে জয় পেতে সমস্যা হয়নি অ্যাডিলেডের।
চতুর্থ উইকেটে হ্যারি মান্নেতির সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের কাজ সারেন তিনি। ১৯২. ৪৫ স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন ১০২ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্টের চতুর্থ সেঞ্চুরিয়ান ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৫ চার ও ১ ছক্কায়। অন্যদিকে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মান্নেতি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন অফস্পিনার সাইফ হাসান।
এর আগে টস জিতে চল্লিশোর্ধ্ব দুটি ইনিংসটি ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ওপেনার জিশান আলম। আর টুর্নামেন্টে চতুর্থ অপরাজিত চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেও ফিফটির দেখা না পাওয়া আফিফ হোসেন করেছেন ৪৯ রান। প্রতিপক্ষের হয়ে ৪ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন হান্নো জ্যাকবস।