ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির উপত্যকায় ভয়াবহ বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) কর্মীরাও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০০ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির সরকারও অতিরিক্ত ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য।
যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে কাশ্মির উপত্যাকার ১৭ জন এবং জম্মুর ২ জন বাসিন্দা রয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারে সাহায্যের জন্য ২০ কলাম বাহিনী, দু’টি এমআই-১৭ ও একটি চিতা হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ইকবাল খান্ডে জানান, ‘ত্রাণ শিবিরগুলোতে খাদ্য সামগ্রি, খাওয়ার পানি, জ্বালানি, কম্বলসহ প্রয়োজনীয় দরকারি জিনিষপত্র মজুত রাখা হয়েছে।’ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করার কথা ভাবছে প্রশাসন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মিরে বন্যায় ২৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষকে সেই সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। সেই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের বন্যায় একটানা বর্ষণে বন্যা দেখা দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে, কাশ্মিরে বেড়াতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ৩২ জন পর্যটক আটকা পড়েছে। রাজ্যের পর্যটন সচিব এ আর বর্ধন জানিয়েছেন, ‘কাশ্মিরে যেসব পর্যটক আটকা পড়েছে তারা মূলত আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। দিল্লীর রেসিডেন্ট কমিশনারের মাধ্যমে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাশ্মিরে যাওয়া এক পর্যটক জানান, ‘এখানে বন্যার জন্য সমস্ত জিনিষপত্রের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে গেছে। এক বোতল পানির দাম ২০০ টাকা হয়েছে। খাবার প্লেটের দাম আগের চেয়ে ১০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে হোটেল ভাড়াও। এরইমধ্যে ওই পর্যটকদের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা কি করে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।




