গাজায় শিশুখাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ সীমিত করেছে ইসরায়েল

SHARE

ইসরায়েল গাজায় শিশুখাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ সীমিত করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আবারও যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার করছে। তারা গাজায় যাওয়ার পথে এক মার্কিন চিকিৎসকের কাছ থেকে শিশুখাদ্যের কৌটা জব্দ করেছে।

এই অভিযোগ এমন সময়ে উঠেছে, যখন ত্রাণ সংস্থা ও চিকিৎসা পেশাজীবীরা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি উপত্যকায় অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মৃত্যুর হার বাড়ার কথা জানাচ্ছেন।

গত জুনের শেষ দিকে, এক মার্কিন চিকিৎসক মানবিক সহায়তা মিশনের উদ্দেশ্যে গাজায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি সঙ্গে করে গুঁড়া শিশুখাদ্য, গজ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী এনেছিলেন। কিন্তু জর্ডান থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্তে পৌঁছানোর পর, ইসরায়েলি বাহিনী সেই শিশুখাদ্য জব্দ করে — এ তথ্য ফরাসি দৈনিক লে মনডে-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়।

‘শিশুখাদ্যের কৌটা জব্দ করা হয়েছে,’ বলেন ফিলিস্তিনি-জার্মান সার্জন ডায়ানা নাজ্জাল, যিনি এই মানবিক কাফেলার সমন্বয়কারী ছিলেন।
তিনি লে মনডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা যদি যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ক্ষুধা ব্যবহারের প্রমাণ না হয়, তাহলে আর কী হতে পারে? গাজায় চলমান গণহত্যায় এটি একেবারে স্পষ্ট।’

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজায় এখনো শিশুদের জন্য বিশেষ ধরনের দুধ যেমন- অপরিপক্ব বা ল্যাকটোজ সহ্য করতে না পারা শিশুদের জন্য নির্ধারিত দুধ মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। সর্বব্যাপী অপুষ্টির কারণে অনেক মায়ের পক্ষে স্তন্যদান করাও সম্ভব হচ্ছে না।

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, ১৯ মে থেকে (যেদিন পুরো অবরোধ সামান্য শিথিল করা হয়) এখন পর্যন্ত তারা এক হাজার মেট্রিক টনের বেশি শিশুখাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।
তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন যে, এসব সরবরাহ এখনো চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।