‘অজানা’ পথে দক্ষিণ আফ্রিকা

SHARE
africa22বিশ্বকাপের ফাইনাল তো বটেই, নকআউট পর্ব উতরে গিয়ে কীভাবে খেলতে হয় সেটাই ‘অজানা’ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
১৯৯২ সালে ক্রিকেটে ফেরার পর নকআউট পর্ব মানেই প্রোটিয়াদের জন্য বিস্ময়কর হতাশার গল্প। কখনো বৃষ্টি, কখনো ভাগ্য আর কখনো নিজেদের সামান্য ভুল- একেকবার একেকটি ইস্যু এসে দ. আফ্রিকাকে ছিটকে দেয় বিশ্বকাপের আসর থেকে।
এবারই কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব পার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সামনের বাকিটা পথ অন্তত অভিজ্ঞতার নিরিখে বেশ ‘অচেনা’।
বিষয়টা মানছেন ডেভিড মিলারও। তবে সেই অজানা-অচেনা পথে বেশ ভালো ভাবে পাড়ি দিতে প্রোটিয়ারা প্রস্তুত তার অভিমত, ‘এটা আমাদের কাছে অজানার মতো ব্যাপার। খুবই রোমাঞ্চকর সময়ও বটে। মাত্র আটদিনের ব্যাবধানে আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি! শুধু একটা পা ফেলাই বাকি। আর তার জন্য আমরা পুরোপুরিই প্রস্তুত।’
সেমিফাইনালের নকআউট ম্যাচ পার হলেই শিরোপা লড়াইয়ের ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এই জায়গায় মিলে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের স্বপ্নও।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার জোর দাবিদার ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। এর আগে ছয়বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেললেও ফাইনাল খেলা হয়নি একবারও।
গ্রুপ পর্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৮ রান করা মিলার তাই সতর্ক কিউইদের নিয়েও, ‘নিউজিল্যান্ড স্বাগতিক হওয়ার একটা সুবিধা তো পাবেই। ফাইনালের জন্য ওরাও নিশ্চয়ই অপেক্ষা করে আছে। তবে আমরাও নিজেদের সেরাটা খেলার অপেক্ষায় আছি। মঙ্গলবার দারুণ একটা ম্যাচই হতে যাচ্ছে।’
২৪ মার্চ অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে যে-ই জিতুক, বিশ্বকাপ তাই নতুন ফাইনালিস্ট পাচ্ছে। তবে সেটি  কারা, নিউজিল্যান্ড নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা- তার জন্য এখন অপেক্ষা।