মিরসরাইয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগ, আহত ৪

SHARE

policeমিরসরাইয়ের নিজামপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকঘর (মৌলভী বাজার) এলাকায় কয়েকটি খাবার হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যার পর হোটেলগুলো বন্ধ না করার অভিযোগ এনে পুলিশ ভাঙচুর করে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের পিটুনিতে চারজন আহত হয়েছে।

রোববার রাতে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ডাকঘর সিপি বাংলাদেশের কারখানার সামনে এঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন,  আজমীর হোটেলের ম্যানেজার রাম চন্দ্র বণিক, ভাই ভাই হোটেলের শ্রমিক বাবুল বড়ুয়া, মো. সেলিম ও সফিউল আলম।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “রাতের বেলা ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী ট্রাকের চালক ও সহকারীরা ট্রাক দাড় করিয়ে হোটেলে নাস্তা করে থাকেন। ট্রাক গুলো দাঁড়ালে ট্রাকে নাশকতা হতে পারে পুলিশ এমন ধারণায় রাত ৮টার পর হোটেল গুলো বন্ধ রাখতে বলে।

পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী হোটেল গুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। এরপরও রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক কাউসারের নেতৃত্বে পুলিশ মা মনি হোটেল, আজমীর হোটেল, শাওন হোটেল, ভাই ভাই হোটেলসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। হোটেল ও দোকানের মালপত্র ফেলে দেয়।

মা-মনি হোটেলের মালিক মীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আমার হোটেলটি তখন বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় হোটেলের ভেতরে কয়েকজন কাস্টমার ভাত খাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে হোটেলের মালপত্র ফেলে দেয়। সরকার যখন অবরোধ হরতালে দোকান খোলা রাখতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছেন, তখন পুলিশ দোকানপাট বন্ধ করে নাশকতা এড়াতে চাইছেন।”

মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক আক্কাস জানান, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনাঙ্খাকিত এ ঘটনা ঘটে। তবে রাতেই বৈঠকে এটির সমাধান করা হয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, “পুলিশ একজন শ্রমিককে চড় থাপ্পড় দিয়েছে শুনেছি। দোকানে ভাঙচুর এবং একাধিক লোক আহত হওয়ার কথা শুনিনি।”

তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।