সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে: ড. মিজান

SHARE

mizanurধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে শক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, “প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতম পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। জীবনযাপনের পথ সুগম করতে হবে। শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন হলে বৈধ পন্থায় তা করতে হবে, অপশক্তিকে রুখতে হবে।”

সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষক সমিতির প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে ড. মিজান এ কথা বলেন।

মিজান বলেন, “রাষ্ট্রের একচেটিয়া শক্তি থাকার কথা। কিন্তু এ ধরনের পেট্রলবোমা হামলা রাষ্ট্রের একচেটিয়া শক্তিকে অস্বীকার করে এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। রাষ্ট্রের মূলে আঘাত করে এবং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এ কারণেই এমন হামলা নিন্দনীয়, পরিত্যাজ্য ও অগ্রহণযোগ্য।”

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “বিশ্বের সব জায়গা থেকে জেনেছি, মানবাধিকার সাধারণত লঙ্ঘিত হয় রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের ফলে এবং সরকারকেই মূলত দায়ী করা হয়। কিন্তু আজ মানবাধিকার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে সরকারের বাইরের শক্তির দ্বারা।”

ড. মিজান বলেন, “আপনাদের হয়তো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস হোটেল থেকে খাবার কেনার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু একদিন কাজে না গেলে যাদের পক্ষে খাবার জোটানো সম্ভব না, টিফিন ক্যারিয়ারে করে যাদের জন্য খাবারও আসে না- তাদের কথা তো চিন্তায় রাখতে হবে।”

পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং হরতাল-অবরোধ দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা বিঘ্নিত না করার আহ্বান জানিয়ে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই প্রতীকী অনশন পালন করেন।

এতে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ কামাল, কলা অনুষদের ডিন আখতারুজ্জামান, নিজামুল হক ভুঁইয়া, শফিউল আলম ভূঁইয়া, নাজমা শাহীনসহ ঢাবির দেড় শতাধিক শিক্ষক।