বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, “সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিয়ে, শেখ হাসিনা দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছেন। দেশের চলমান পরিস্থিতি আর সঙ্কটের দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।”
অভিযোগ করে খোকা বলেন, “দেশের বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতেই ভয়াবহ গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে হাসিনা সরকার।”
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ একটি রেস্টুরেন্টে গত রোববার বিকেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা এসব কথা বলেন।
ক্যান্সারে আক্রান্ত বিএনপি নেতা খোকা চিকিৎসার জন্য বর্তমানে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের মধ্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, গিয়াস উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, ড. নূরুল আমীন পলাশ, এবাদ চৌধুরী, আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, উত্তম বণিক, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, পেনসিলভেনিয়া বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, যুবদল নেতা মামুন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের দুই অংশের সভাপতি এম এ বাছিত ও আতাউর রহমান আতা, ছাত্রদল নেতা সোয়েব আহমেদ চৌধুরী, তারেকুল মারুফ, দেওয়ান রকি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার অবৈধ ক্ষমতার দাপটে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গত দেড়মাস যাবত তালাবদ্ধ করে রেখেছে। একইভাবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরূদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে এমনকি সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই দফতরের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ এমনকি মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।”
খোকা বলেন, “অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করার জন্য বর্তমান অস্ত্রবাজ সরকার এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করছে না। চলমান আন্দোলন-লড়াইয়ের মুখে তারা গণদাবি মেনে ক্ষমতা ছাড়ার পরিবর্তে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করার এক ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে উদ্যত হয়েছে। এ জন্য তারা প্রয়োজনে দেশকে সিরিয়া বা ইরাক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও প্রকাশ্যেই দিয়ে চলেছে। বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার একদিকে দলীয় ক্যাডার ও দলবাজ গোয়েন্দা এজেন্টদের দিয়ে পেট্টলবোমা মেরে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, অন্যদিকে বিরোধী দলের নিরীহ নেতা-কর্মীদেরকে প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের নামে সরাসরি গুলি চালিয়ে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করছে।”