ইছামতি নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

SHARE

পাবনা শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী দখলকারী ও দূষণকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এই তালিকা তৈরি করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

ইছামতি নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকটে মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রুলে পাবনা সদর, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ৮৪ কিলোমিটার ইছামতি নদীকে কেন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষণা করা হবে না এবং সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ, দূষণ ও দখলমুক্ত করে দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে কেন তাদের উচ্ছেদ করা হবে না, ক্ষতিকর স্থাপনা অপসারণ করে নদীর প্রবাহ কেন বাড়ানো হবে না এবং নদী দূষণ রোধ করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি, পরিবেশ ও পানি সম্পদ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পাবনার ডিসি-এসপিসহ ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের পর সাঈদ আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের বলেন, পাবনার জেলায় প্রবাহিত ইছামতি নদী এক সময় সচল ছিল। কিন্তু বর্জ্য ও দূষণে বর্তমানে নদীটি মৃত প্রায়। নদী দখল ও বাধ দেওয়ায় নদীর মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নির্মিত স্লুইসগেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি প্রবেশ না করতে পারায় এ নদীর প্রবাহ কমে পাবনা শহর এলাকায় নদীটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধযুক্ত আবদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি। নদী দখল করে উভয় পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি-ঘর ও কল-কারখানার বর্জ্য, পয়:বর্জ্য এ নদীতেই ফেলা হচ্ছে নিয়মিত।

ইতিমধ্যে পাবনা সদর উপজেলার শুধুমাত্র পৌরসভা এলাকার ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ২৮৫টি এবং সাঁথিয়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নে মোট ৬৬টি অবৈধ দখলদারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এলাকাবাসী নদী রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে নদী রক্ষায় আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে।