ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পেলে শাস্তি দেওয়া হবে : বিসিবি সভাপতি

SHARE

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সম্প্রতি আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তীব্রভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর গেল আসরের বেশ কয়েকটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহজনক খবর আসে। সেই খবর মিলিয়ে যেতে না যেতেই এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন করে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে বড় ধরণের বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ মনে করেন, ম্যাচ ফিক্সিং অনেকাংশে কমে এসেছে, কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।

চলতি মৌসুমের বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার একটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ার পর সেই ম্যাচ নিয়ে বিসিবি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

‘খেলবেই বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত যুবকদের মধ্যে ক্রিকেট প্রচারের জন্য একটি ক্রিকেট কার্নিভাল প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডিভিশনে ফিক্সড ম্যাচ অনেক কমে গেছে, তবে এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি ম্যাচ ফিক্স করা হয়, তাহলে ভালো খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না, কারণ আপনি আপনার সেরা খেলোয়াড়কে শূন্য রানে আউট হতে বলছেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াইড, নো বল করতে বলবেন। বলবেন উইকেট না নিতে।
এটি ক্রিকেট নয়।’

আইসিসি মিটিং থেকে ফিরে এসে ফারুক বলেন, ‘আমাদের একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে এবং আমরা বিস্তারিত তদন্ত করব। যদি কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।’

তিনি নিশ্চিত করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যেদিন বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালায়, সেদিনই তিনি আইসিসি সভা থেকে ফিরেছেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘তারা নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়ার পরই এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, বোর্ড সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে –কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ সবই সরবরাহ করা হবে।’

‘আমি আমাদের সিইওকে বলেছি, যেন দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দেন। তদন্ত কতদূর যাবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’

ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কে।
যারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি সম্প্রচার করতে রাজি হয়েছে। যখন বোর্ড এই সিরিজের জন্য কোনো ব্রডকাস্টার পাচ্ছিল না। ‘আমি মনে করি আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া পর্যায়ে আর্থিকভাবে একটি মন্দা চলছে। জিও স্টার, যারা আইসিসির জন্য গ্লোবাল ইভেন্ট করে, তারাও স্পনসরশিপ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। সরকার পরিবর্তনের পর আমাদেরও কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিটিভি কে ধন্যবাদ জানাই যারা এই সিরিজ সম্প্রচার করবে। তাদের স্লট পাওয়া কঠিন ছিল এবং আমি এখানে উপস্থিত সচিবকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। আমরা বোর্ড থেকে তার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম এবং সবাইকে এয়ার টাইম কিনতে হয়েছিল। এটি খুবই ভালো হয়েছে যে বিটিভি বিনা খরচে এই সিরিজ সম্প্রচার করতে এগিয়ে এসেছে। অন্তত মানুষ খেলা দেখার সুযোগ পাবে এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখনও চেষ্টা করছি আরেকটি টিভি চ্যানেলকে নিয়ে আসতে। যদি পাই, তাহলে তাদের দেব, কিন্তু সময় খুব কম।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এর জন্য টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুত করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাব।’