বাংলাদেশ মডেল ইউনাইটেড নেশন্সের সম্মেলন শুরু

SHARE

বাংলাদেশ মডেল ইউনাইটেড নেশন্স (বানমুন)-২০১৪ তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় রাজধানীর অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সম্মেলনটি শুরু হয়। এটি ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজক হিসেবে রয়েছে ইউনাইটেড নেশন্স ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব)।image_87872_0

বানমুন মূলত জাতিসংঘের আদলে পরিচালিত একটি সম্মেলন যাকে ছায়া জাতিসংঘ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। বানমুনের এবারের শ্লোগান ‘উন্নয়নের জন্য তারুণ্য’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ, বাংলাদেশ সরকারের জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল সৈয়দা মুনা তাসনিমের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার বিভাগের ডিরেক্টর ফায়ায মুর্শেদ, ইউএনআরসি এর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান।

ইউনিস্যাবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ফায়ায মুর্শেদ বলেন, “আমরা ছয় বছর যাবত ইউনিস্যাবের সঙ্গে কাজ করছি। এইবারের বানমুনের শ্লোগান ‘উন্নয়নের জন্য তারুন্য’ আমাকে অভিভূত করেছে। আশা করছি এই তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎকে উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এছাড়াও সম্মেলনের আলোচনার মাঝে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আইসক্রিম বিরতি, চা বিরতিসহ নানা ধরনের চিত্তবিনোদনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে।

এই সম্মেলনে ১০টি কমিটির অধীনে ৩৬টি স্কুল থেকে মোট ৩০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। সম্মেলনটি শুরু হয় একটি প্লেনারি সেশনের মাধ্যমে এবং সারাদিনে ১০টি কমিটির সেশন সম্পন্ন হয়। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসবের মধ্যে ছিল সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রে নারী ও শিশু অধিকার লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিরাপত্তা এবং এধরনের আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা নিয়ে আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
দিনশেষে শিক্ষার্থীরা এধরনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ওয়ার্কিং পেপার বা কার্যপত্র তৈরি করেন যার ওপর তারা পরবর্তী দুই দিন আলোচনা করবেন। আলোচনা শেষে সব কমিটি থেকে তাদের আলোচিত সমস্যাগুলোর একটি সমাধান বের করে নিয়ে আসাই হলো এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য।

২৬ জুন বানমুন-২০১৪ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাপনী দিনেই প্রতিযোগী ও আয়জকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।