১০ টাকার ১০ হাজার হিসাবধারীকে ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড বিজনেস লিটারেসি প্রদান

SHARE

business litaমাস্টারকার্ড দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান ও তাদের উজ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিস্বরুপ ব্যুরো বাংলাদেশ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সহযোগিতায় ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায় চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এর আওতায় ১০ হাজারজন ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বা হিসাবধারীদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড বিজনেস লিটারেসি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হবে।

এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিভলবিং রিফাইন্যান্সিং ফান্ডের মাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন তৈরিতে সহায়তা করবে এবং মাইক্রো ফিন্যান্স লোনের যথাযথ ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দিবে। মাস্টারকার্ড ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এর প্রথম অফিস চালু করাকে চিহ্নিতকরনে প্রথম পর্যায়ে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম শুরু করে।

এর আওতায় ব্যুরো বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় দেশের এক লাখেরও বেশী নারী উদ্যোক্তাদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড বিজনেস লিটারেসি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার হলো ৫%। আর মোট জনসংখ্যার ৪০% হচ্ছে অর্ধ বেকার। দেশের বিশাল শ্রমশক্তির অনেকেই সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান, তা-ও আবার কম মজুরিতে। যা-ই হোক, বাংলাদেশে এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে মানুষের প্রবেশাধিকার বাড়ছে, ই-কমার্স তথা অনলাইনে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড জোরদার হচ্ছে।

এই অবস্থায় এদেশের মানুষের সামনে স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগও তৈরি হয়েছে। সে অনুযায়ী এদেশের সাধারণ তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল হওয়ার উপায় এবং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়াই মাস্টারকার্ড ও ব্যুরো বাংলাদেশের নেওয়া এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জনাব ড. আতিউর রহমান। এছাড়াও মাস্টারকার্ডের সাউথ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব ভিকাস ভার্মা, ব্যুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জনাব জাকির হোসেন, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল কুদ্দুস এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে মাস্টারকার্ডের সাউথ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ভিকাস ভার্মা বলেন, “ব্যুরো বাংলাদেশ ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সহযোগিতায় ১০ হাজারজন ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবধারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিবে যা তাদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে এবং পরিবার ও সমাজে সামগ্রিক অবদান রাখতে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলবে।”

ব্যুরো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জনাব জাকির হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে অগণিত উদ্যোক্তা রয়েছেন। তারা নিজ নিজ উদ্যোগে এবং স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে নিয়োজিত। কিন্তু একটা জায়গায় তাদের ঘাটতি আছে। সেটি হলো, আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠার জন্য যে প্রশিক্ষণ দরকার সেটি তাদের নেই। সে জন্য আমরা মনে করি, আমাদের এই কর্মসূচির ফলে তাদের প্রশিক্ষণের ঘাটতিটা পূরণ হবে। এর ফলে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে যেমন উপকৃত হবেন তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে পারবেন।”

মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের সফলতার পথ দেখানোর কাজে নিয়োজিত নানা ধরনের সংগঠন ও কর্মসূচিগুলোতে সহযোগিতা করে আসছে।

মাস্টারকার্ড শুধু বিজনেস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসির মাধ্যমেই নয়, বরং বিকাশমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে থাকে।