ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালে আট হাজারের বেশি লোক মারা যাওয়ার পর মঙ্গলবার আধা ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতের খবর পাওয়া গেছে। ভুমিকম্পের পর কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। এরপর বেলা ১টায় অপর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।
প্রথম ভূমিকম্পটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮৩ কিলোমিটার পূর্বে চীন সীমান্তের কাছে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সাড়ে ১৮ কিলোমিটার গভীরে। যা এভারেস্ট পর্বতের নিকটবর্তী শহর নামচি বাজার থেকে ৬৮ কিলোমিটার পশ্চিমে।
গত ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পুর্বে এবং ১০ কিলোমিটার গভীরে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল নেপালের কোদারি এলাকায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে নেপালে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরে সিন্ধুপালচক জেলার চৌতারা এলাকায় ওই চারজন মারা গেছেন। এছাড়া ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় অন্তত তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ ভূমিকম্পে তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে, নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাবে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশটির কয়েকটি রাজ্য এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের প্রভাবে ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি ভবন ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।
এর দুই সপ্তাহ আগে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে উৎপত্তি হওয়া ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটির আট হাজারের বেশি লোক মারা যায়। এছাড়া বিধ্বস্ত হয় দেশটির ঐতিহাসিক সব স্থাপনা। সূত্র: রয়টার্স