ক্রিকেট বিশ্বকে অস্ট্রেলিয়ার তারুণ্যের সতর্কবার্তা

SHARE

final5একে একে বিদায় নিচ্ছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংরা। অস্ট্রেলিয়া হারায় গ্রেট ক্রিকেটারদের একটি প্রজন্ম। ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যত ভেবে, তখন ক্রিকেট বিশ্বে অনেকেই হা-হুতাশ করতেন। আবার অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের শৃঙ্খল ভাঙছে ভেবে মনে মনে আনন্দ অনুভব করতেন।

চলছে ২০১৫ সাল। ক্রিকেটের ২২ গজে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দাশার চিত্রটা হয়তো সবাই এই বর্তমান সময়েই দেখবেন আশা করেছিলেন। কিন্তু এই সময়টা ক্রিকেট বিশ্বের সামনে উপস্থিত করেছে নতুন অস্ট্রেলিয়াকে। যে অস্ট্রেলিয়ার চালিকাশক্তি, অস্ত্র সবই কিছু তরুণ প্রাণ। অগ্রজদের মতোই অপ্রতিরোধ্য রুপে হাজির হচ্ছে তারা ক্রিকেট বিশ্বে। মেলবোর্নে রোববার এসব তরুণদের ব্যাটিং-বোলিং দ্যুতিতে ভর করেই পঞ্চমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পেল অস্ট্রেলিয়া।

ক্রিকেট বিশ্ব শুনল অস্ট্রেলিয়ার তরুণ প্রজন্মের গর্জন। ক্রিকেট দুনিয়াকে এটা তাদের সতর্কবার্তাও বলা যেতে পারে। তারা আসছে আগামী সময়টা নিয়ন্ত্রণ করতে।

স্টিভেন স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্করা যেই প্রজন্মের প্রতিনিধি। ক্লার্ক, হ্যাডিন, ওয়াটসন, জনসনরা এই মিছিলের শামিল নন। এদের বেশিরভাগই ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী। যেমনটা স্টার্ক (২৫), হ্যাজেলউড (২৪), ফকনার (২৪), প্যাট কামিন্স (২১), জেমস প্যাটিনসন  (২৪) সমবয়সী। প্যাটিনসন বিশ্বকাপে ছিলেন না। মেলবোর্নের ফাইনালে ম্যাচের প্রথম ওভারেই সুরটা অস্ট্রেলিয়াকে পাইয়ে দিয়েছেন স্টার্ক। বাঁহাতি এই দুর্দান্ত পেসার বোল্ড করেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। স্টার্ক বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন ২২ উইকেট নিয়ে।

অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ জিতে শুরু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বিশ্ব শাসন। স্টিভ ওয়াহ, পন্টিংরা পরবর্তীতে এনে দিয়েছেন আরও তিনটি বিশ্বকাপ। ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সাল টানা তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে নিজেদের মাটিতে সুযোগটাও হাতছাড়া করেনি মাইকেল ক্লার্কের দল। অধিনায়ক ক্লার্কও যোগ দিলেন পন্টিংদের মতো বিশ্ব জয়ীর কাতারে।

আর পঞ্চম বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়া জিতল এক সারি তরুণের কাঁধে চড়ে। ভবিষ্যতের ক্রিকেট শাসনের ইঙ্গিতটা দিয়ে গেলেন স্মিথ-স্টার্করা এই বিশ্বকাপেই। আর গিলক্রিস্ট-পন্টিংদের জায়গাটা পূরণ করলেন তারা।