বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে আগের অবস্থানেই রয়েছে। আমেরিকা চায় দেশের স্বার্থে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি স্বচ্ছ নির্বাচন।’
রবিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত ‘কান্ট্রি লেকচার সিরিজ’-এ অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মোজেনা।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সবার অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ওই নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান এখনো বলবৎ রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জাপান সাংবিধানিকভাবে বৈধ বলেছে। জাপান তার অবস্থান পরিবর্তন করে চলমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মোজেনা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেনি।’
জিএসপি সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা মুখ্য বিষয় নয়। তৈরি পোশাক খাতে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা এবং শ্রমমান উন্নয়ন হওয়া জরুরি। যাতে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে মোজেনা বলেন, নিজেদের সাতটি রাজ্যের (সেভেন সিস্টার) নিরাপত্তার স্বার্থেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের ভালো রাখা দরকার।
বিদায়ী এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অনেক বেড়িয়েছি। এই দুই দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। আমি জানি, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য (সেভেন সিস্টার) বাংলাদেশের পণ্যসহ নানা বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।’
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মোজেনা বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ইতিবাচক। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অনেক দেশেরই আগ্রহ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, চীন বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলে এ দেশে প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।’