দীর্ঘ চারমাস পর তালা ভেঙে খুলে দেয়া হল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সকল একাডেমিক ভবন ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি খুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাসন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোরশেদ-উল-আলম রনি, সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমান, রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক রায়।
এদিকে তালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তাই যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রবিবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে তালা ভাঙার সময় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ ও কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলের পাশাপাশি তালা ভাঙার বিপক্ষে ও ধর্মঘটের পক্ষে আলাদা-আলাদা মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও কোনও প্রকার সহিংসতা ছাড়াই প্রশাসনের সহায়তায় সুষ্ঠু পরিবেশে তালা ভেঙে সকল ভবন খুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তালা ভাঙ্গা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একে এম নুর-উন নবী হলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবার দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সচল করা। বারবার আলোচনা করা সত্তেও শিক্ষকরা আন্দোলন তুলে নিয়ে তালা খুলে না দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা ভেঙে ক্যাম্পাস সচল করার উদ্যোগ নেয়। সরকার ও বিভিন্ন মহল আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার পরামর্শ দেন এবং শিক্ষকদের আন্দোলন তুলে নিয়ে ক্লাস পরীক্ষা চালানোর পরামর্শ দেন। শিক্ষকরা এর জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। আর রবিবার তালা খুলে না দেয়ায় আমরা বাধ্য হয়েছি তালা ভাঙতে।
তালা ভাঙলেই কি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনে আমরা আবারও আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসব। আর যদি কেই আবার তালা লাগায় তাহলে তা ভেঙে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে একাডেমিক ভবন খুলে দেয়ার পরপরই কিছু শিক্ষক ক্লাস চালিয়েছেন বলে জানা যায়।