১৭৫ নদী রাজনৈতিক ভূমিদস্যুদের দখলে : টিআইবি

SHARE

tib22দেশের অনেক নদীই রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় পেশীশক্তিধারী ভূমিদস্যুদের দখলে। পানি ও পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘাটতিই নদী দখল ও দূষণের প্রধান কারণ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের (বাউইন) উদ্যোগে বিশ্ব পানি দিবস-২০১৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে রবিবার সকালে ‘টেকসই উন্নয়নে চাই পানি খাতে শুদ্ধাচার’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ নদী প্রধান দেশ। আর এ দেশের নদীর নাব্যতা রক্ষাই বর্তমানে প্রধান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্জ্য নিষ্কাশন নীতিমালা মান্য করা হয় না বলেই দূষণ অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০০০ সালের পরিবেশ আইনের ৩৬ নম্বর ধারা অনুসারে প্রাকৃতিক জলাধারা বা মিষ্টি পানির প্রধান উৎস সংরক্ষণে আইনী বাধ্যতা থাকলেও ভূমিদস্যুরা নির্বিচারে বাংলাদেশের নদী ও জলাশয়গুলো দখল করেছে। ফলে ২৩০টি নদীর মধ্যে ১৭৫টি নদীই মৃত প্রায়। এ ছাড়া প্রতি বছরই দু’একটি করে নদী মরে যাচ্ছে বা শুকিয়ে যাচ্ছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের পানি খাত অনেক জটিল এবং এর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কমপক্ষে ১৩টি মন্ত্রণালয় যুক্ত। যদি পানি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা না যায় তাহলে জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প উন্নয়ন, বস্তুসংস্থানসহ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হবে।

পানি খাতে শুদ্ধাচারের দাবিতে টিআইবি ও বাউইনের উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো— বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’র আশু বাস্তবায়ন করা, নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা, নদীতে বেআইনী দূষণ রোধ ও অবৈধ দখলমুক্ত করা, শিল্পবর্জ্য নির্গমনের বিধিমালা তৈরী করা, পানি সম্পদের অপব্যবহার রোধে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রমুখ।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, টিআইবি ও বাউইনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।