সেই অনূর্ধ্ব-১৯-এ শুরু। বিরাট কোহলির সঙ্গে তখনই একটা সমস্যা চলছে রুবেলের। সেই সময় রুবেলকে একটা কটূক্তি করেছিলেন বিরাট, তার পর থেকেই মন থেকে উঠে গেছে বিরাটের নাম। সেদিন তাই বিরাট কোহলির উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাসটা বেশি ধরা পড়েছিল রুবেলের। রোহিত শর্মার উইকেটটিও তারই পাওনা ছিল; কিন্তু আলিম দারের সেই কলঙ্কিত সিদ্ধান্ত। তার পরও বিশ্বকাপের ছয় ম্যাচে তার ৮ উইকেট, ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ধারাবাহিক বোলিং করে যাওয়া, ডেথ ওভারে ইয়র্কার দেওয়া_ এসব নিয়েই বেশ খুশি রুবেল হোসেন। বিশ্বকাপে বোলিংয়ে অনেকটাই গোছালো রুবেল, ব্যক্তিগত জীবনটাও কি এবার সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেবেন? ‘সত্যি কথা বলতে কি, একসময় ভেবেছিলাম বিশ্বকাপই বুঝি খেলা হবে না আমার। খুব কষ্টের সেই দিনগুলো…। আল্লাহর ইচ্ছায় সেই দিনগুলো পেরিয়ে এসেছি, এখন সবকিছুতেই হয়তো আরও গুছিয়ে নিতে পারব।’
একটি বিশ্বকাপ যে কতটা বদলে দিতে পারে সবকিছু, তা এখন ভীষণভাবে উপলব্ধি করছেন এই পেসার। এদিন লংহ্যাম হোটেল থেকে যখন টি-শার্ট গায়ে জড়িয়ে খেতে বেরিয়েছিলেন তখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের আবদারে ছবি তুলতে হয়। এমনকি শচীনের ভক্ত সুধীর, গায়ে রঙ লাগিয়ে যিনি কি-না গ্যালারিতে সারাক্ষণ ভারতের জন্য চেঁচিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিও রুবেলকে হোটেলের সামনে দেখে সেলফি তুলে নেন। অনেক ভারতীয় সমর্থকও কাছে এসে হাত মিলিয়ে দারুণ বোলিং করার জন্য শুভেচ্ছা জানান। শুধু কি তাই! সন্ধ্যায় যখন প্রবাসীদের আমন্ত্রণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখানে মাইকে রুবেলের নাম বলতেই গোটা হলরুম তার নাম ধরে চিৎকার করতে থাকে। সাকিব, মাশরাফি, মুশফিক নন_ এই অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি সেলফি, অটোগ্রাফ, ফটোগ্রাফ তোলা হয় রুবেলকে মাঝখানে দাঁড় করিয়ে। এমন জনপ্রিয়তা, এমন হিরোইজম কি আগে কখনও পেয়েছিলেন রুবেল? কৌতূহলের উত্তরে সেই ঠোঁটচাপা মুচকি হাসি তার।