হার্ট এ্যাটাক রোধে ব্যায়াম কেন দরকার

SHARE

excerসম্প্রতি নানা গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে শুধু ডায়েট কন্ট্রোলই হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন নিয়ম মাফিক শরীর চর্চা, হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, আপনি আপনার খাবারের প্রতি কতটা সতর্ক এতে কিছু যায় আসে না যদি না ব্যায়াম করেন।

এমনই অভিমত দিয়েছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ ড: রজার হেনডারসন। তিনি মনে করেন নিয়ম মাফিক ব্যায়াম না করা হচ্ছে হার্ট এ্যাটাকের জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপুর্ণ। ড: হেনডারসন মনে করে, ব্যায়াম করার অর্থ এই নয় যে আপনাকে প্রতিদিন জিমে যেতে হবে বা সুইমিং পুল থাকতে হবে। ঘর বা কর্ম ক্ষেত্রে, পার্কে হেঁটেও আপনি শরীর ঠিক রাখতে পারেন।

এমনকি সিঁড়ি দিয়ে উঠা, গাড়ি বা বাস থেকে নেমে একটু হাঁটতে পারেন। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন ব্যায়াম করুন। দিনে অন্তত ৩০-৪০ মিনিট হাঁটলেই চলে। যদিও প্রতি ১০ জনের ৭ জনই এ কাজটি করেন না বলে ড: হেনডারসন মনে করেন।

অনেকে প্রশ্ন করেন ব্যায়াম কিভাবে হার্ট এ্যাটাক বা হূদরোগ প্রতিরোধ করে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে:

১. ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২. রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে যা হার্টের রক্তনালীতে চর্বি জমতে দেয় না। ৩. রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল কমাতে সাহায্য করে যা হার্ট এ্যাটাকের অন্যতম কারণ।

৪. ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায় ফলে রক্তনালীতে অযাচিত রক্তজমে ব্লক সৃষ্টি করতে বাধা দেয়। ৫. ব্যায়ামে শরীরের বাড়তি চর্বি কমাতে সাহায্য করে ও ওজন কমায় যা হার্ট এ্যাটাকের অন্যতম ঝুঁকির কারণ।

এদিকে ড: রজার হেনডারসন আরও মনে করেন হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে যথাযথ খাদ্য তালিকা অনুসরণ এবং শরীর চর্চা করার পাশাপাশি ধূমপান একেবারেই পরিত্যাগ করতে হবে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং মানসিক চাপ যথা সম্ভব কম রাখতে হবে।

এসব মেনে চলতে পারলে হার্ট এ্যাটাক জনিত দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা অথবা রোধ করা সম্ভব।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ