ছন্দে ফিরেছেন স্কারলেট জোহানসন

SHARE

রেসের ঘোড়ার মতো ছুটছে স্কারলেট জোহানসনের নতুন ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’। মাত্র ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এই সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন থ্রিলার ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার রোজগার করে ফেলেছে। ২ জুলাই মুক্তির পর থেকে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে গ্যারেথ এডওয়ার্ড পরিচালিত এ ছবির বক্সঅফিস রিপোর্ট। এই সাফল্য আবারও নতুন প্রাণ ফিরিয়েছে স্কারলেটের ক্যারিয়ারে।

কেন্দ্রীয় চরিত্র জোরা বেনেট হয়ে ডাইনোসরের দুনিয়ায় ফিরেছেন স্কারলেট। তার সঙ্গে আরও রয়েছেন মাহেরশালা আলি, জোনাথন বেইলি, রুপার্ট ফ্রেন্ড ও লুনা বেইজি। বিশ্লেষকদের ধারণা, এই গতিতে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই ছবিটি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।

গত ছয় বছরে স্কারলেটের ক্যারিয়ারে তেমন উজ্জ্বল সাফল্য আসেনি।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জোজো র‌্যাবিট’ ছিল তার শেষ বাণিজ্যিক হিট, যা মাত্র ১৪ মিলিয়ন ডলারে তৈরি হয়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার তুলেছিল। তারপর ২০২১ সালে কেইট শর্টল্যান্ডের ‘ব্ল্যাক উইডো’ কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। সুপারহিরো চরিত্রে তাকে আরও পাকাপোক্ত করে তোলে এই সিনেমাই। ২০২৩ সালে ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘অ্যাস্টারয়েড সিটি’ কানে প্রশংসিত হয়ে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল, যদিও নির্মাণ খরচ ছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার।
আর এবার ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ দিয়ে বক্স অফিসে নতুন করে আলোচনায় তিনি।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’-এর দৌড়ে আবারও সেরা নায়িকাদের কাতারে ফিরলেন স্কারলেট জোহানসন। এর আগে, গত ছয় বছরে খারাপ সময়টাই বেশি গেছে এ অভিনেত্রীর। ক্রিস্টিন স্কট থোমাসের ‘মাই মাদার্স ওয়েডিং’ এবং ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘দ্য ফোনেসিয়ান স্কিম’ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি বক্সঅফিসে। তবে ‘দ্য ফোনেসিয়ান স্কিম’ এবারও কান উৎসবে প্রশংসিত হলেও স্কারলেট অভিনেত্রী হিসেবে খুব বেশি আলোচনায় আসেননি।
উল্টো আলোচনায় এসেছে তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ইলিনর দ্য গ্রেট’। ৯০ বছরের এক বৃদ্ধার প্রেমে ১৯ বছরের এক যুবকের টানাপোড়েনের গল্প ঘিরে নির্মিত এ ছবিটি ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে বাণিজ্যিকভাবে।

১৯৯৪ সালে ‘নর্থ’ সিনেমার একটি গৌন চরিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন স্কারলেট জোহানসন। মাত্র দু’বছর পর ‘মেনি অ্যান্ড লো’ ছবিতে নায়িকা হয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক ব্লকবাস্টার— ‘দ্য হর্স হুইসপারার’, ‘গোস্ট ওয়ার্ল্ড’, ‘দ্য প্রেস্টিজ’, ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’, ‘ক্যাপ্টেইন আমেরিকা’— তাকে পৌঁছে দেয় তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে। তার সবচেয়ে সফল ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ (২০১৮) মাত্র ৪০০ মিলিয়ন খরচে আয় করেছে ২ বিলিয়নেরও বেশি!