মন্ট্রিয়লে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো “রং ইন্টারন্যাশনাল বাংলা স্টার অ্যান্ড বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”

SHARE

তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে রং প্রোডাকশন ও এ্যাড পয়েন্ট-এর গ্ল্যামারাস আয়োজন

কানাডা প্রতিনিধি:
গত ১৩ জুলাই কানাডার মন্ট্রিয়লের শেরাটন হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক তারকাখচিত ও গৌরবোজ্জ্বল সন্ধ্যা—“সপ্নধরা প্রেজেন্টস রং ইন্টারন্যাশনাল বাংলা স্টার অ্যান্ড বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫”।
আয়োজনটি যৌথভাবে সম্পন্ন হয় রং প্রোডাকশন ও এ্যাড পয়েন্ট-এর ব্যবস্থাপনায়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিশু সাব্বির এবং উপস্থাপিকা নীল হুরে জাহান।
রং প্রোডাকশন-এর কর্ণধার তানভীর আহমেদ তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “এই সম্মাননা শুধু পুরস্কার নয়, প্রবাসে আমাদের সংস্কৃতির শক্তিশালী প্রতিনিধি।”
তিনি এর আগেও আন্তর্জাতিক তারকাদের নিয়ে বহু সফল কনসার্ট আয়োজন করেছেন—শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহান, মিকা সিং, আতিফ আসলাম, রুনা লায়লা, হাবিব ওয়াহিদ এবং বালাম-এর মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের নিয়ে।

অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, ইচ্ছা, এবং পারসা ইভানা।
‘বাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের জনপ্রিয় মুখ জিয়াউল হক পলাশ, মিশু সাব্বির ও পারসা ইভানা মঞ্চে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় জয় করেন।
মেহজাবীন চৌধুরী উপস্থাপিকার সঙ্গে মজার খেলায় অংশ নিয়ে পরিবেশকে করে তোলেন প্রাণবন্ত।

সঙ্গীত পরিবেশন করেন এ্যাশেস ব্যান্ড, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তোশিবা এবং সংগীত পরিচালক ও গায়ক প্রীতম হাসান। তাঁদের চমৎকার পরিবেশনায় গোটা বলরুম মুগ্ধ হয়ে ওঠে।

সম্মাননা প্রাপ্তদের তালিকায় ছিলেন—
• অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ
• অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী
• অভিনেত্রী পারসা ইভানা
• অভিনেত্রী কেয়া পায়েল
• অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ
• অভিনেতা মিশু সাব্বির
• উপস্থাপিকা নীল হুরে জাহান
• কণ্ঠশিল্পী প্রীতম হাসান
• এ্যাশেস ব্যান্ড
• কণ্ঠশিল্পী তোশিবা
• সাংবাদিক ও ২৪ আওয়ার বিডি পত্রিকার সম্পাদক ইমারত হোসেন
• বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অজয় কুন্ড, আমজাদ, লিটন আহমেদ, সুকান্ত

সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত ছিল, বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আহমেদ শরীফ-এর হাতে আজীবন সম্মাননা তুলে দেওয়া। উপস্থিত দর্শকগণ দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এই অভিনয়গুণীকে।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে আয়োজকরা ঘোষণা দেন,
➡ “রং ইন্টারন্যাশনাল বাংলা স্টার অ্যান্ড বিজনেস অ্যাওয়ার্ড” আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের মাটিতে, যা দেশের সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক সংযোগকে আরও গভীর করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এই আয়োজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সাংস্কৃতিক গর্ব, ঐক্য ও অনুপ্রেরণার এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এবং আন্তর্জাতিক মানে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।