চিয়ারলিডারদের রোল মডেল বিজ্ঞানী

SHARE

chiyarlidarচিয়ারলিডার মানেই খেলার মাঠে একটা বাড়তি আকর্ষণ। স্বল্পবসনা যুবতীদের চটুল নাচ খেল-বিনোদনকে অন্যমাত্রা দেয়। সেই স্বাদ আইপিএল-এর সৌজন্যে ইতোমধ্যেই পেয়েছে উপমহাদেশের দর্শক। কিন্তু স্বল্পবাসে কয়েক হাজার দর্শকের সামনে এক যুবতীর নাচকে শিক্ষিত নাগরিক সমাজের একাংশ মনে মনে যতই উপভোগ করুক, সরাসরি সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাক সিঁটকানোই তাদের দস্তুর। পাছে মনের খবর জনসমক্ষে চলে যায়! সেই সব ‘ভণ্ড’-দেরকেই কার্যত যোগ্য জবাব দিচ্ছেন বছর ছাব্বিশের মার্কিন যুবতী কেলি বেনিয়ন। বিশ্বের অনেক যুবতীর কাছে তিনি অচিরেই হয়ে উঠেছেন রোল মডেল।

কী করেছেন কেলি?

ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী কেলি বেনিয়ন। স্কুল পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নেন বিজ্ঞানকেই। সাইকোলজি ও স্প্যানিশ ভাষায় ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে বস্টনে নিউরোসায়েন্সের উপর পিএইচডি করছেন। এর পাশাপাশিই মার্কিন বেসবল ম্যাচগুলিতে কেলিকে ছাড়া চলে না উদ্যোক্তাদের। আসলে বিজ্ঞানী কেলি বেনিয়ন একজন তারকা চিয়ারলিডার। খেলার ফাঁকে স্বল্পবাসনা কেলির নাচ মাতিয়ে রাখে গোটা স্টেডিয়াম। এই আনন্দই তিনি চুটিয়ে উপভোগ করেন। কেলির বক্তব্য, সুন্দর মুখ আর নাচ জানলেই চিয়ারলিডারদের দলে জায়গা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় একশো শতাংশ। বুদ্ধি, শিক্ষাকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। ফলে পড়াশোনা বেশি দূর না এগোলেই, আয়ের জন্য সুন্দর মুখ নিয়ে চিয়ারলিডার হতে এগিয়ে আসেন অনেক যুবতী। তার কথায়, ‘চিয়ারলিডার পেশাকে নীচু ভাবে দেখা হবে কেন। বহু মানুষের বিনোদন জোগান তারা। আর স্লিম থাকার জন্য তো সবাই জিমে যায়। আমি স্টেডিয়ামে যাই। অসুবিধা কী?’

বিজ্ঞানী কেলি বেনিয়ন এখন বহু মার্কিন যুবতীর কাছেই হয়ে উঠেছেন রোল মডেল। চিয়ারলিডারদেরও কাছেও কেলি মানেই একরাশ গর্ব।