লকডাউন উঠে গেলেও ইতালিতে জমে উঠেনি ব্যবসা-বাণিজ্য

SHARE

দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পর লকডাউন তুলে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত, কলকারখানা ও পরিবহন চালু করে দেওয়া হলেও জমে উঠেনি ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় ইতালিতে প্রায় ৮০ ভাগ প্রবাসী কর্মহীন হয়ে আছে।

করোনাভাইরাসের কারণে ইতালিতে প্রায় তিন মাস লকডাউন থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত ৩ জুন হতে লকডাউন উঠিয়ে নিয়ে সমস্ত ব্যাবসা-বাণিজ্য, অফিস, আদালত, কলকারখানা ও পরিবহন স্বাভাবিক নিয়মেই খুলে দেওয়া হয়েছে ইতালিতে। কিন্তু রাস্তায়, বাস-ট্রেন ও সুপার মার্কেটগুলোতে আগের নিয়মেই যাতায়াত করতে হচ্ছে, দূরত্ব বজায় রেখে, মাক্স ও হ্যান্ডগ্লাভস পরিধান করে।

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বার ও মানি এক্সচেঞ্জগুলো খুললেও নেই তেমন কোনো ক্রেতা বা অর্থ প্রেরণকারী।

ইতালির পর্যটন নগরীগুলোতে পর্যটক না আশায় সেখানকার আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার ও গিফট আইটেমের দোকানিরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলে আবার বন্ধ করে দিয়েছেন কোনো প্রকার বিক্রি না হওয়ায়। আবার কেউ কেউ খোলা রেখেছেন যদি কিছু বিক্রি করা যায়। এ অবস্থায় কাজ না থাকায় প্রায় ৮০ ভাগ প্রবাসী কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

পর্যটননির্ভর ইতালির ভেনিস কবে প্রাণ ফিরে পাবে, পর্যটকদের পদচারণায় কবে মুখরিত হবে সেই আশায় পথ চেয়ে আছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। আর ইতালির রাজধানী রোমের কোলচ্ছিয়াম, মিলান শহরের দোমো ও ভেনিসের পিয়াচ্ছা সান মার্কো চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে বিদেশি পর্যটন না থাকলেও দীর্ঘ লকডাউনে থাকা ঘরবন্দি মানুষগুলোকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয়দের একটাই চাওয়া সব কিছু কাটিয়ে উঠে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে ইতালির পর্যটন শহরগুলো ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।

ইতালিতে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ইতালির বাইরে অন্য কোনো দেশের পর্যটকদের দেখা মিলছে না। বিভিন্ন ট্যুরিজম কম্পানির লোকজন স্টেশনের বাইরে প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না কোনো পর্যটক।

এদিকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্যও বাস, ট্রেনে দূরত্ব বজায় রেখে বসার জন্য চিহ্ন একে দেওয়া হয়েছে। যা মেনেই সবাই যাতায়াত করছেন।