সাইফ-টাবুর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রাজস্থান সরকার

SHARE

দুই দশক পেরিয়ে গেলেও কৃষ্ণসার হরিণহত্যার ‘অভিশাপ’ পিছু ছাড়েনি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ টিমের। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় সালমান খানকে। তবে সেইসময় তথ্য প্রমাণাদির অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যান সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম এবং দুষ্মন্ত সিং।

কিন্তু রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাদের নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি।
ফের সেই অভিশপ্ত স্মৃতি ফের ফিরে এল সাইফ-টাবুদের জীবনে। দুই তারকার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত রাজস্থান সরকার! তাদের খালাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।

১৬ মে, শুক্রবার বিচারপতি মনোজ কুমার গর্গের আদালতে লিভ-টু-আপিল আবেদনের শুনানি হয়, যিনি বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট বিচারাধীন মামলাগুলোর সাথে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।

১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাস। চলছিল ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং। যোধপুরে সেই শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। একই দায়ে পড়েন সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক তারকা।
বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে সন্তানস্নেহেই পালন করেন, রক্ষাও করেন।

অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সালমান। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সাইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সালমান।
গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তারা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সালমান চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তারা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সালমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন সালমান খান।

২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সালমান খানের শাস্তি হয়। যোধপুর আদালত সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও দু’রাতের বেশি জেলের ভিতর কাটাননি সালমান। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পান তিনি। সইফ আলি খান, তাব্বু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস করে আদালত। কিন্তু রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি। সরকারের তরফ থেকে রাজস্থান হাই কোর্টে আপিল করা হয়।