ম্যানসিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ক্রিস্টাল প্যালেস

SHARE

ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১১৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন ক্রিস্টাল প্যালেস। মৌসুমের প্রথমার্ধে প্রিমিয়ার লিগ হাতছাড়া হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির। গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কারাবাও কাপ- সব হারানোর পর সবেধন নীলমনি ছিল একটাই।
এফএ কাপ। মৌসুমে শত ব্যর্থতার পরও শেষ মুহূর্তে এফএ কাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা। তারা চেয়েছিল, পুরো মৌসুমে একেবারে খালি হাতে ফেরার চেয়ে অন্তত একটি শিরোপা হলেও জিতুক পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

কিন্তু শেষটাও ভালো হলো না।
ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেই ছাড়লো ম্যানসিটির ফুটবলাররা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে তারা হেরে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। গার্দিওলার শিষ্যদের হারিয়ে মৌসুমের শেষ শিরোপাটা জিতে নিলো ক্রিস্টাল প্যালেস।

ম্যানচেস্টার সিটিকে দুঃখের সাগরে ভাসানোর একমাত্র কাজটি করেছেন এবেরেসি এজে।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই ওয়েম্বলির অর্ধেক অংশকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোলটি করলেন এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। সে সঙ্গে ইতিহাসও গড়লেন তিনি। এই প্রথম ক্লাব ইতিহাসে বড় কোনো শিরোপা জয় করলো ক্রিস্টাল প্যালেস।

মূলত সাবেক গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনের কাছেই ধরা খেতে হলো ম্যানচেস্টার সিটিকে। আরলিং হালান্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, বার্নার্ডো সিলভা, ওমর মারমোশ কিংবা বার্নার্ডো সিলভাদের একের পর এক গোল রুখে দিয়েছেন ডিন হেন্ডারসন।
এচেভেরি এজে যদি গোল করেন, ডিন হেন্ডারসন গোল বাঁচিয়ে জিতিয়েছেন ক্রিস্টাল প্যালেসকে।

গত বছরও এফএ কাপের ফাইনালে হারতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। সেবার ২-১ গোলে তারা হেরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই প্রথম একটি শিরোপাও না জিতে একটি মৌসুম কাটালো সিটিজেনরা।

এচেভেরি এজের গোলেই কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল জিতে তৃতীয়বারের মত ফাইনালে উঠে এসেছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। ফাইনালে সেই তারকাই জেতালেন তাদেরকে। ম্যাচ শেষে এজে বলেন, ‘এটা ছিল আমাদের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা ঘুমাতে যেতাম। আমি এবং ক্লাব চিন্তা করতাম, একদিন স্বপ্ন পূরণ হবেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো, আমরা ইতিহাস তৈরি করলাম।’

প্রথমার্ধেই সিটি মানসিকভাবে পেছনে পড়ে যায়, যখন পেনাল্টি পেয়েও সেটা মিস করে ফেলেন ওমর মারমোশ। তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। ওই যে পিছিয়ে পড়েছিল, সেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব হয়নি। বরং, প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একটি গোল হজম করেছিল ম্যানসিটি। কিন্তু ভিএআর চেক করে সেটাকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।