করোনায় বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়েছে আবাসিকে, কমেছে শিল্পে

SHARE

করোনাভাইরাসের প্রভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদন দুটিই কমেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৩-১৪ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কমানো হয়েছে। এদিকে অফিস আদালত বন্ধ হওয়ার কারণে বাণিজ্যের বিদ্যুৎ লোডের চাপ কমে গিয়ে আবাসিক লোডের চাপ বেড়ে গেছে। বাণিজ্যে বিদ্যুতের চাহিদাটা এখন আবাসিক চাহিদায় রূপান্তরিত হয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন কালের কণ্ঠকে জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কারণে অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাণিজ্য এলাকায় বিদ্যুতের লোড কমে গিয়ে আবাসিক এলাকায় লোড বেড়ে গেছে। যারা আগে দিনে অফিসে থাকতেন তারা এখন বাসায় অবস্থান নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। সে কারণে বাণিজ্য চাহিদাটা আবাসিক চাহিদায় রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে গেছে। এখন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলে হয়তো চাহিদা থাকতো ১৩-১৪ হাজার মেগাওয়াট। কারণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ২৪ ঘণ্টায় চালু থাকে। সাধারণত আমাদের প্রতিদিন পরিকল্পনা করা হয়। আমাদের পরিকল্পনা থাকে সম্ভাব্য চাহিদা কত হবে সে অনুযায়ী আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর তালিকা থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সাড়ে ৭ হাজার মেগাওয়াট।

রবিবার দুপুরে চাহিদা ৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট আমরা ধরে নিয়েছি ৮ হাজার মেগাওয়াট হবে। ৮ হাজার মেগাওয়াট হলে কোনো কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলবে। সবচেয়ে কম খরচের বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটা সেটা চলু রাখার চেষ্টা করি। এভাবেই আমাদের তালিকা করা হয়েছে, বিদ্যুতের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলো চলে এবং বন্ধ হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলে যখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে তখন তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখা হতো। এখন যেহেতু শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ তাই বেশি খরচের বিদ্যুতের কেন্দ্র তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়। তবে সবসময় রাতের বেলা চাহিদাটা বেড়ে যায় কারণ রাস্তার লাইটিংগুলো চালু করা হয়। তাই আমাদের সবসময় চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। কারণ চাহিদা সময়ের সাথে সাথে অনেক বাড়ে কমে।