অর্জুনের তীরে ছিল পরমাণু অস্ত্র : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল

SHARE

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিপ্লব দেব, পিযূষ গোয়েল, দিলিপ ঘোষ-বিজ্ঞানকে নিয়ে এমন সব মন্তব্য করেছেন যা শুনে মাথা নিচু করে ফেলেছেন তাবড় বিজ্ঞানীরাও। এবার সেই পথেই হাঁটলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গতকাল সোমবার ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলে ফেললেন, অর্জুনের তীরে ছিল পরমাণু অস্ত্র!

পরমাণু অস্ত্র বলেই থেমে যাননি তিনি। নিয়ে এসেছেন ‘উড়ন্তযানের’ প্রসঙ্গও। জগদীপ ধনখড় বলেছেন, ‘বিংশ শতাব্দী নয়, রামায়ণে প্রথম উড়ন্তযানের ব্যবহার হয়েছে।‘ রাজ্যপালের মুখে এহেন সব আজব তত্ত্ব শুনে অনেকেরই অভিমত, এটাই তো বিজেপির ট্র্যাডিশন। পদাধিকার বলে এখন রাজ্যপাল হলেও জগদীপ ধনখড় আসলে তো বিজেপিরই অংশ ছিলেন, তাই এমন অভিমত আশ্চর্যের নয়।

এর আগে মোদি দাবি করেছিলেন, মেঘলা আকাশে পাকিস্তানের র‌্যাডার কাজ করবে না। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের আগে তার এমনই পরামর্শে নাকি সুফল পেয়েছিল বিমান সেনারা। এখানেই শেষ নয়, নরেন্দ্র মোদির অন্য আরেক বক্তব্য নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার হাসি-তামাশা। তিনি দাবি করেছিলেন, ১৯৮৮ সালে তিনি ই-মেল ও ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, সেই ছবি তিনি নাকি ই-মেল করেও পাঠিয়েছিলেন।

পিছিয়ে থাকেননি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও। মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট, হাঁসেরা অক্সিজেন দেয় বলে নানা ধরনের অবাস্তব মন্তব্য করেছেন। কিছুদিন আগে সারা দেশে অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পিযূষ গোয়েল বলেন, ‘আইনস্টাইনের মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কারে অঙ্ক কোনো কাজে আসেনি।’ একইভাবে দিলিপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়!

বিজেপির সেই ট্র্যাডিশন চলছেই। সেই তালিকায় এবার সাড়ম্বরে জায়গা করে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।