ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র গাজা পরিস্থিতি নিয়ে একটি নতুন বোঝাপড়ার পথে এগোচ্ছে। তাই গাজায় কী ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া স্থগিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, যদি হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত না হয়, তবে এই সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে আসবে। সূত্রটি বলেছে, এই সপ্তাহে আর কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না।
ইসরায়েলি সরকারের ভেতরে গাজা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত—তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ গাজা শহর ও অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো ঘিরে রাখার পক্ষপাতী, আবার কেউ কেউ সরাসরি শহর ‘জয় করার’ পরিকল্পনার পক্ষে, বলেছে সূত্রটি।
বৃহস্পতিবার একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র গাজা পরিস্থিতি নিয়ে একটি নতুন বোঝাপড়ার পথে এগোচ্ছে, কারণ হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় আলোচনাগুলো থেকে সরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘একই সময়ে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য একযোগে কাজ করবে।
’
দুইটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের এই আলাপ থেকে সরে আসার বিষয়টি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কাতারের দোহায় আলোচনায় পাঠানো প্রতিনিধিদের প্রত্যাহারের পর। তখন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ অভিযোগ করেছিলেন, হামাস ‘অসৎভাবে’ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে এরপরও, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে হামাস যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে তারা আবার দোহায় আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত থাকবে।
বৃহস্পতিবার হামাস জানায় যে তারা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এর আগে গাজার মানবিক পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ ঘটাতে হবে।
এই ভঙ্গুর শান্তি আলোচনা চলছে এমন এক সময়ে, যখন গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে এবং বহু মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে।