সলিল চৌধুরীকে নিয়ে জলতরঙ্গের আয়োজন ২২ নভেম্বর

SHARE

সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন জলতরঙ্গ বছরে একটি বড় সাংস্কতিক আয়োজন করে। আয়োজনটি হয়ে থাকে ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয়। তাদের এবারের আয়োজন উপমহাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতজ্ঞ সলিল চৌধুরীকে নিয়ে।

সলিল চৌধুরী বলেছিলেন ‘পৃথিবীর গাড়িটা থামাও আমি নেমে যাবো…।’ সত্যিই, এই অন্যায়, অবিচার আর মূর্খতায় পূর্ণ পৃথিবীতে বড়ই বেমানান ছিলেন! তাঁর খেদ ছিল সমাজের নানা অসঙ্গতি আর অসমতায়। তিনি ছিলেন ‘আলোর পথযাত্রী’, শোষিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে তাঁর কথা আর সুর কখনোই ক্লান্ত হয়নি। বাংলা ও হিন্দিসহ ভারতীয় ১১টি ভাষায় উপহার দিয়েছেন একের পর এক অবিস্মরণীয় গান। গানগুলো পেয়েছে গগণস্পর্শী জনপ্রিয়তা। যা আজো স্পর্শ করে মানুষের অন্তরকে।

সলিল চৌধুরীর জন্ম ১৯ নভেম্বর ১৯২৫, মৃত্যু ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। গানে গানে তাঁকে স্মরণ করবে ‘জলতরঙ্গ’। আগামী ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার মূল মিলনায়তনে সলিল চৌধুরীর কালজয়ী গান, কবিতা আর জীবনীর কিছু অংশ শৈল্পিক আবহে উপস্থাপন করা হবে। এই আসরে ‘রানার’, ‘প্রান্তরের গান’, ‘আজ নয় গুন গুন’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম’ সহ সলিলের বেশ কছু কালজয়ী গান শিল্পীরা গাইবেন।

সংগীত এবং কাব্য সাহিত্য নিয়ে কাজ করে চলেছে জলতরঙ্গ। পুরনো দিনের গান কবিতা নিয়ে শ্রোতার আসর আয়োজন এবং প্রকাশনা করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। ২০১৪ সালে ছায়ানটে একটি মনোজ্ঞ গীতি আলেখ্য’র মাধ্যমে জলতরঙ্গের জন্ম। আমাদের সংস্কৃতির যাবতীয় উত্কৃষ্ট নিদর্শন নিয়েই জলতরঙ্গ কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানালেন জলতরঙ্গেরসাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন তপন।